‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ থেকে বিবেককে সরাতে ‘চাপ’ ছিল

সে সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ঐশ্বরিয়া রাইকে ঘিরে সালামান খান ও বিবেকের দ্বন্দ্বের কথা কারও অজানা নয়।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 07:08 AM
Updated : 31 May 2023, 07:08 AM

দুই দশক আগে অল্প সময়ের মধ্যে হিন্দি সিনেমায় জনপ্রিয়তা পাওয়া অভিনেতা বিবেক ওবেরয়কে ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ সিনেমায় নেওয়ায় রীতিমত হুমকি পেতে হয়েছিল এর পরিচালককে। এর পর থেকে ‘বিপর্যস্ত’ হতে থাকে বিবেকের ক্যারিয়ারও।

‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ মুক্তির ১৬ বছর পর এসব কথা ফাঁস করেছেন নির্মাতা অপূর্ব লাখিয়া।

বলিউড লাইফ ডটকম জানিয়েছে, ২০০৭ সালে অ্যাকশন থ্রিলার ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ সিনেমায় বিবেককে নেওয়ায় কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, সে কথা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন লাখিয়া। 

তিনি বলেন, “বিবেককে সিনেমায় নেওয়ার পর প্রযোজকরা বেঁকে বসেন। আমাকে বলেন, অন্য কাউকে বিবেকের জায়গায় নিতে হবে। কিন্তু আমি কেন আমার পছন্দ থেকে সরে যাব। বিবেককে নিয়েই সিনেমাটি শেষ করি।“

বিবেককে রেখে ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর ওই সিনেমার আরেক অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে পাশে পেয়েছিলেন লাখিয়া। এছাড়া অভিনেতা সুনীল শেঠিরও সমর্থন পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন লাখিয়া। 

“আমিও ভাবলাম, অত চিন্তা করে লাভ নেই। আমার সিনেমা হিট হলে কে আর কি করবে। বিবেক ভালো অভিনেতা। তাকে চরিত্রে মানাবে বলেই নিয়েছিলাম।“

ব্যক্তিগত জীবনে কে কী করছেন তা বিবেচনায় আনেননি বলেও জানিয়েছেন লাখিয়া।

তিনি বলেন, “বিবেকের চরিত্রটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সে দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। ওর মত পেশাদার অভিনেতা বিরল।”

মুক্তির পর ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ সুপারহিট হয়। তবে এর পরের কয়েক বছর বিবেক সেভাবে আর কাজ পাননি। কিছুদিন বসে থেকে ব্যবসাতে মন দিতে হয়েছিল এই অভিনেতাকে। পরে অবশ্য দক্ষিণী সিনেমা করে বলিউডে ফেরেন বিবেক।

প্রযোজকরা কার কথায় ওই সিনেমা থেকে বিবেককে সরিয়ে দিতে বলেছিলেন তা জানাননি লাখিয়া। তবে সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে ঐশ্বরিয়া রাইকে ঘিরে সালামান খান ও বিবেকের দ্বন্দ্বের কথা কারও অজানা নয়।

২০০৩ সালে ‘কিউ! হো গ্যায়া না’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়া ও বিবেক জুটি বেঁধেছিলেন। তখন তাদের ‘প্রেম’ কাহিনী নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হয়।

এরপর বিবেক অভিযোগ করেন, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে মেলামেশার কারণে সালমান খান তাকে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি সংবাদ সম্মেলন ডেকেও বিবেক বলেছিলেন সালমান মদ্যপ অবস্থায় তাকে ৪১ বার ফোন করেছিলেন। তবে বিবেক ওবেরয় ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘প্রেম’ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

আর সালমান খান এবং ঐশ্বরিয়ার ‘প্রেমের’ গল্প আরও পুরনো। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমায় সামির আর নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি সত্যি সত্যি প্রেম করেছেন সালমান ও ঐশ্বরিয়া।

তবে শোনা গিয়েছিল, সালমানের ‘প্রেমিকার’ দিকে নজর দেওয়ার কারনেই ক্যারিয়ার ‘বারবাদ’ হতে বসে বিবেকের।