আনমোল বন্দুকবাজদের সাহস জোগাতে বলেছিলেন যে- তারা ‘ইতিহাস লিখতে’ চলেছেন।
Published : 02 Nov 2024, 12:05 PM
বলিউড তারকা সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলির ঘটনায় নাম আসা আনমল বিষ্ণোইকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ শাখা।
সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনে মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে।
পুলিশ বলছে, আদালতের নথি পাওয়ার পর আনমোলকে ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হবে।
এনডিটিভি লিখেছে, ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) গত মাসে আনমোল বিষ্ণোইয়ের নাম তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় তোলে। তাকে ধরার জন্য ১০ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
১৯৯৮ সালের দুই কৃষ্ণ হরিণ হত্যা মামলা থেকে সালমান রেহাই পেলেও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ‘নিশানার তালিকায়’ তিনি রয়েছেন। কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ কৃষ্ণসার বা চিংকার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করে, বলতে গেলে তারা পূজা করে।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রোহিত গোদারা এর আগে দাবি করেছিলেন, সালমান খানের যেকোনো বন্ধুই তাদের চোখে ‘শত্রু’ হিসেবে বিবেচিত।
২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যার পর আলোচনায় আসা বিষ্ণোই গ্যাং গত ১৪ এপ্রিল সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল। কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলা নিয়ে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে হুমকি অব্যাহত থাকায় গুলির ঘটনায় বলিউড ভাইজানের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
সালমানের বান্দ্রার বাসভবনের বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল বাইকে আসা দুই ব্যক্তি। এই ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় লরেন্স বিষ্ণোই, আনমোল বিষ্ণোই ও কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের নাম রয়েছে।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২৫ লাখ রুপির বিনিময়ে বলিউডের ভাইজানকে হত্যার দায়িত্ব দিয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক মাস ধরে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
বন্দুকবাজদের সাহস জোগাতে ৯ মিনিটের বক্তব্যে আনমোল তাদের বলেছিলেন যে- তারা ‘ইতিহাস লিখতে’ চলেছেন।
গত মাসে সালমান খানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকীর খুনের অভিযোগেও তদন্ত চলছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাসায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
কয়েক ডজন মামলা মাথায় নিয়ে লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দি আছেন, তবে তার দল মুক্তিপণের জন্য ব্যবসায়ীদের ফোন কল দিয়ে প্রায়ই শিরোনাম হয়েছে।