লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া গানটির লিরিকে কাটাছেঁড়া হয় ১০৫ বার।
Published : 16 Oct 2024, 12:03 PM
বলিউডের ‘মুঘল-ই-আজম’ সিনেমার সংলাপ, গান ও সেট নিয়ে আজও আলোচনা হয়। ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া সেই সিনেমার 'পিয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া' গানটি আজও অমলিন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ বলছে, ‘মাস্টারপিস’ ওই গানটির আবেদন এতটুকু কমেনি সাড়ে ৬ দশকেও।
গানটির সেট তৈরিতে সময় লেগেছিল প্রায় দুই বছর, আর তাতে খরচ হয়েছিল ১ কোটির রুপির বেশি। ওই সময় এর চেয়ে কম খরচে একটা আস্ত হিন্দি সিনেমা বানিয়ে ফেলা যেত।
'মুঘল-ই-আজম’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন দিলীপ কুমার, মধুবালা, পৃথ্বীরাজ কাপুর, ও দুর্গা খোটে।
শাহজাদা সেলিমের বিদ্রোহ ও অনারকলির অতুলনীয় সৌন্দর্য সিনেমাটিকে ইতিহাসের পাতায় পাকাপোক্ত জায়গা করে দিয়েছে।
আনারকলি চরিত্রটির জন্য মধুবালাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। সিনেমার গানগুলোর অন্যতম 'পিয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া' তৈরির পেছনে দারুণ সব ঘটনা রয়েছে।
কিংবদন্তী শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ওই গানের দৃশ্যায়ন হয়েছিল মুম্বাইয়ের মোহন স্টুডিওতে।
লাহোর দুর্গের শীশ মহলের অনুকরণে টানা দুই বছর ধরে দেড়শ ফুট দৈর্ঘ্য, ৮০ ফুট প্রস্থ এবং ৩৫ ফুট উচ্চতার গানের সেট তৈরি করা হয়েছিল।
সিনেমার পরিচালক এবং সুরকার 'পিয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া' তৈরিতে এতটাই সিরিয়াস ছিলেন যে, গানের সম্পাদনা হয়েছে বহুবার। গীতিকার শাকিল বাদায়ুনি ১০৫ বার গানের কথা পরিবর্তন করেছেন।
সুরকার নওশাদ গানের গায়িকা হিসেবে লতা মঙ্গেশকরকে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি চাইছিলেন গানে ‘ইকো ইফেক্ট’ আনতে। কিন্তু ওই সময়ের প্রযুক্তি ‘ইকো ইফেক্ট’ তৈরিতে তেমন যুৎসই ছিল না।
তাই লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে স্টুডিওর বাথরুমে গানটি গাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন নওশাদ, যাতে প্রতিধ্বনি তৈরি হয়।
সবার এই পরিশ্রম বিফলে যায়নি। মুক্তির পর 'মুঘল-ই-আজম’ হয় ব্লকবাস্টার, আর গানটি জায়গা করে নেয় কালোত্তীর্ণের তালিকায়।