সিটি ভোট: মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে মাঠে নামতে শুরু করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2020, 07:56 AM
Updated : 30 Jan 2020, 09:27 AM

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার দুই সিটিতে মোট ৬৫ প্লাটুন বিজিবি নামানো হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরে ২৭ প্লাটুন এবং দক্ষিণে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে এ বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান।

তিনি বলেন, “শনিবার ভোট সামনে রেখে আরও ১০ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে তাদেরকেও মোতায়েন করা হবে।”

এ নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অর্ধ লক্ষ সদস্য মাঠে থাকছেন।

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমদের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন সদস্যদের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী এলাকায় টহলে থাকবেন ।আর পুলিশসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা থাকবেন কেন্দ্রে কেন্দ্রে।

দুই সিটির ২৪৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা একটানা ভোট হবে। দুই সিটিতে ভোটের দায়িত্বে থাকবেন অর্ধলক্ষের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য

নিরাপত্তা সদস্য:   কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সদস্য থাকছে ৪১ হাজার ৯৫৬ জন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে  ১৮ জন করে সদস্য মোতায়েন থাকবে।

মোবাইল ফোর্স: পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ১২৯টি মোবাইল ফোর্সে থাকবেন ১ হাজার ২৯০ জন,

স্ট্রাইকিং ফোর্স: ৪৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকবেন ৪৩০ জন,

রিজার্ভ: রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকবেন ৫২০ জন।

র‌্যাব: দুই সিটিতে র‌্যাবের টিম থাকবে ১৩০টি। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে টিম দায়িত্ব পালন করবে। গড়ে ১১ জন করে এতে মোট ১ হাজার ৪৩০ জন র‌্যাব সদস্য থাকবেন।

রিজার্ভ: দুই সিটিতে র‌্যাবের ১০টি রিজার্ভ টিম থাকবে, তাতে ১১০ জন সদস্য থাকবেন।

বিজিবি: রিজার্ভসহ দুই সিটিতে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্বে পালন করবেন। প্রতি প্লাটুনে গড়ে ৩০ জন করে মোট ২ হাজার ২৫০ জন বিজিবি সদস্য থাকবেন ভোটের দায়িত্বে।

হাকিম:  ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুই সিটিতে থাকবেন ১৭২ জন নির্বাহী এবং ৬৪ জন বিচারিক হাকিম।

ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা

দুই সিটিতে দুজন রিটার্নিং অফিসার মোট ৪৩ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে এবারের সিটি নির্বাচন পরিচালনা করবেন।

প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি ভোটকক্ষে ১ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে থাকবেন।

দুই সিটিতে সব মিলিয়ে ২৪৬৮ জন প্রিজাইডিং আফিসার, ১৪ হাজার ৪৩৪জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৮ হাজার ৮৬৮ জন পোলিং আফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

সব কেন্দ্রে ইভিএম-এর ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য থাকবেন। তারা শুধু ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে পালন করবেন।

ইভিএম কারিগরি টিম: দুই সিটি ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিতে প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

ভোট তথ্য

উত্তর সিটি করপোরেশন: সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি, সংরক্ষিত ১৮টি, মোট ভোট কেন্দ্র ১৩১৮টি, মোট ভোট কক্ষ ৭৮৪৬।

মোট ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। তাদের মধ্যে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন পুরুষ, ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন নারী।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ২৫টি, মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি, মোট ভোট কক্ষ ৬ হাজার ৫৮৮টি।

মোট ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ জন পুরুষ; ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩ জন নারী।