ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতিতে টোল দিলে ১০ শতাংশ ছাড়ও পাওয়া যাবে।
Published : 18 Apr 2023, 10:57 PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায়ে চালু হয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এই সড়কের ধলেশ্বরী সেতু এবং ভাঙ্গা টোল প্লাজার একটি করে লেইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল দিয়ে যেতে পারবে যানবাহন। ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতিতে টোল দিলে ১০ শতাংশ ছাড়ও পাওয়া যাবে।
দেশে মেঘনা এবং মেঘনা গোমতী সেতুতে এ পদ্ধতিতে টোল আদায়ে আলাদা লেইন রয়েছে। এখন বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতেও তা চালু হল।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপায়ের মাধ্যমে এই টোল কেটে রাখা হবে। এটা করলে টোল প্লাজায় গাড়িকে কম সময় অপেক্ষা করতে হবে। যানবাহন দ্রুত পার হতে পারবে।”
দুটি টোল প্লাজায় পরীক্ষামূলকভাবে এটা চালু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফাস্ট ট্র্যাক কীভাবে কাজ করবে- জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিআরটিএ থেকে নিবন্ধিত সব যানবাহনের তথ্য ফাস্ট ট্র্যাকের সিস্টেমে রাখা আছে। ফাস্ট ট্র্যাকের জন্য নির্ধারিত লেইনে সেন্সর বসানো আছে। একটা গাড়ি যখন যাবে তখন সেন্সর গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট অনুযায়ী সেটি কী ধরনের যানবাহন, তা শনাক্ত করবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত টোলের টাকা কেটে নেবে।
এছাড়া আরএফআইডি কার্ড গাড়ির উইনশিল্ডে লাগানো থাকলে তাও শনাক্ত করে টোল কেটে নেওয়া যাবে।
“এজন্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা উপায়-এ পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হবে। মোবাইল অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে টোল প্লাজার ব্যারিয়ার উঠবে না বলে জানান প্রকৌশলী নাহিন।
তিনি বলেন, “এটা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছি। আমরা যানবাহন মালিকদের এ বিষয়ে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। এটা হলে টোলপ্লাজায় টাকা দেওয়ার, নেওয়া এবং ভাংতির নিয়ে যে সমস্যা হয়, তা আর হবে না।
“গাড়িটা জাস্ট পার হয়ে যাবে, টোল প্লাজার সামনে একটু ধীরে যাবে, থামতে হবে। আমরা আশা করি, এটা করা হলে টোল প্লাজায় যানজট কম হবে।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে দেশের প্রথম আধুনিক মহাসড়ক। এই সড়ক দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এই সড়কে ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার, দুটি ইন্টার চেইন, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।
গত বছরের ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাসড়ক উদ্বোধন করেন।