সাবেক এই কূটনীতিক বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেবল বিদেশি জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে না, সমাজের নানাক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
Published : 11 Jun 2023, 03:53 PM
বাংলাদেশ রিনিউয়েবল এনার্জি সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির মনে করেন, জীবাশ্ম জ্বালানি ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাওয়ার এখনই সময়।
তিনি বলছেন, “আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ২০০৯ সালের ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে এখন তা হয়েছে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। সমস্যা হল, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা এলএনজি, জ্বালানি তেল, ডুয়েল ফুয়েল এবং কয়লার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। আমরা রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও করছি।
“আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা দারুণ। তবে এখন পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। এটা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পোশাদার কূটনীতিবিদ মোহাম্মদ জমির তার পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়েও।
তিনি বলেন, “সূর্যের আলো আর বাতাস যে আমাদের একটি সুন্দর পরিবেশের চেয়েও বেশি কিছু দিতে পারে, আমাদের দেশের জন্য ভিন্ন মাত্রা আর আঙ্গিকে আরও অনেক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, সে কথা আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই।”
সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ইনসাইড আউটে; সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি, বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের হালচাল, আইএমএফের শর্ত মেনে ঋণ নেওয়া, এবং দেশে কূটনীতিবিদদের প্রটোকলের মত বিষয়গুলো নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর তিনি দিয়েছেন।
রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয় ইনসাইড আউটের পর্বটি।
কয়লা সঙ্কটে বিদ্যুৎ উৎপাদন যখন বিঘ্নিত হচ্ছে, ডলার সঙ্কটে জ্বালানি তেল আমদানিও বাড়ানো যাচ্ছে না, দেশে যখন ফিরে এসেছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল মোহাম্মদ জমিরের কাছে।
এর উত্তর দিতে গিয়ে তিনি সরকারের প্রধান তথ্য কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। জমির জানান, সে সময় দেশের ৩৯টি জেলা তার সফর করতে হয়েছে। আর সেসব জেলা ঘুরে সৌরবিদ্যুতের সুবিধা ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো তিনি খুব ভালোভাবে দেখেছেন।
“আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম। আমি দেখলাম, যে বাচ্চারা আগে সন্ধ্যার পরে মাগরিবের নামাজের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ঘুমাতে যেত, কারণ কেরোসিনের বাতি রাখাও তাদের পরিবারের জন্য কঠিন ছিল, এখন তারা জেগে থাকছে, পড়াশোনা করছে, কারণ এখন তাদের ঘরের চালে দুটো সোলার প্যানেল আছে। এটা তাদের টেলিভিশন দেখার মত পর্যাপ্ত বিদ্যুতও যোগাচ্ছে। সন্ধ্যার পরও তারা স্কুলের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে।"
সে সময় স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জমির জানতে পারেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ায় সন্ধ্যার পরও মানুষ নানা কাজে ব্যস্ত থাকছে, আর এ বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনাতেও ভূমিকা রাখছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জমির বলেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়টি আসায় তিনি খুশি।
“এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এর মানে হল, আমরা এটা উপলব্ধি করতে পারছি যে আমাদের এটা করতে হবে। আমরা বুঝতে শুরু করেছি যে, এটা কেবল তেল আমদানি, মাটির নিচ থেকে কয়লা তোলা বা লাভের কথা ভাবার বিষয় না, আমরা প্রায়ই সাধারণ জনগণের কথা ভুলে যাই।"
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ ক্লাইমেট অ্যাডাপ্টেশন প্রজেক্টের’ কথাও মোহাম্মদ জমির বলেন, যে প্রকল্পের লক্ষ্য হল নারীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে পরিবেশগত বিপর্যয় এবং জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা করা।
তিনি বলেন, "টেকসই জীবিকা এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের মত ক্ষেত্রে নারীরা যাতে পরিবর্তনের দূত হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারেন, সেজন্য তাদের সক্ষমতা বাড়াবে এ প্রকল্প।"
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের ৭ হাজার নারী হাওর এলাকায় জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
‘কোনো ভিসা নিষেধাজ্ঞা নেই’
সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলছেন, বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যে নতুন ভিসা নীতি যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে, সেটা ভিসা নিষেধাজ্ঞা নয়।
“তারা বলেছে, আপনি যদি এমন কিছু করেন যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বা কোনো দেশের বিরুদ্ধে বা আপনি যদি সন্ত্রাসী বা মৌলবাদীদের সমর্থন করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে বা আপনার পরিবারকে ভিসা দেবে কি দেবে না, সে সিদ্ধান্ত তারা নেবে। এটা তাদের নিজেদের বিষয়।”
বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে দায়ীরা এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবে না বলে মে মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র যে ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনও কথার লড়াই চলছে।
মোহাম্মদ জমির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে এটা অস্বাভাবিক কোনো পদক্ষেপ নয়। ওই নীতি তারা কেবল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়েছে, বিষয়টা এমনও নয়।
“এটা অনেক পশ্চিমা দেশের মধ্যেও ঘটছে, এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যেও ঘটছে। এটা এমন কিছু নয়, যা আমাদের কোনো সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমাদের অনেক ছেলেমেয়ে, যারা এখনও শিক্ষার্থী, যারা আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ বা ব্রিটেনে পড়াশোনা করছে। তারা সেখানে যাবে এবং পড়বে।
“আমরা দেখাচ্ছি যে, আমরা পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় যেতে পারি এবং যুদ্ধের মধ্যে থাকা মানুষকে সাহায্য করতে পারি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না।”
‘আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশ শোধ করতে পারবে’
আইএমএফ এর কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ বাংলাদেশ নিয়েছে, সেটা শোধ করা কঠিন হবে বলে মনে করেন না পেশাদার কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির।
তিনি বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে, আপনি যখন ঋণ চান, আর সেটা ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য যদি না থাকে– দেখুন কী ঘটেছে শ্রীলঙ্কায়। সেটা কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটেনি। আমরা যে ঋণ নিতে পেরেছি, আমরা সেই ঋণ শর্ত অনুযায়ী সঠিক সময়ে ফেরত দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং আমরা সেটা পেরেছি। তা না হলে তারা ঋণ দিত না।”
এবারের বাজেট প্রণয়নে আইএমএফসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের শর্তের বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রাখা হয় বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধান তথ্য কমিশনারের কাছে। তিনি মনে করেন, ঋণের বিপরীতে শর্ত একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।
জমির বলেন, “আপনি যখন কাউকে টাকা দেন, যেটা সেই ব্যক্তি, দেশ বা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করবে, সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইনি ফ্রেমওয়ার্কের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। সেটাই ঠিক করে দেয়, গ্রহণকারী সেই টাকা কোথায় খরচ করবে এবং খরচের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা লাগবে, যাতে জবাবদিহিতা থাকে। এটাই করা হয়েছে।
“সুতরাং বিষয়টা এমন নয় যে বাংলাদেশকে কিছু করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমন দেশ হিসেবেও আমাদের দেখা হচ্ছে না, যারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না।”
জমির বলেন, “বাজেটে যেটা ঘটেছে, যেভাবে বিএনপিসহ অনেকে বলেছে, এটা আইএমএফের দেখিয়ে দেওয়া পথে হয়েছে… কিন্তু আইএমএফের কারণে হয়নি।”
যে ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার আইএমএফ থেকে এসেছে, সেটা বাংলাদেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায়ও খুব বড় নয় বলে মনে করেন জমির।
তিনি বলেন, “প্রতি মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠায় দুই বিলিয়ন ডলারের মত। কাজেই আইএমএফের ঋণ তো বাংলাদেশের দুই মাসের রেমিট্যান্স আয়ের সমান। এটা তেমন কিছুই না।
দেশে যে মূল্যস্ফীতি, সেজন্য ইউক্রেইন যুদ্ধকে দায়ী করেন তিনি। জমির মনে করেন, এই যুদ্ধ শেষে পৃথিবীর অনেক ব্যবস্থাই পাল্টে যাবে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও এমন দেখা গেছে।
‘বিনা পয়সায় নিরাপত্তা কোথাও পাইনি’
বাংলাদেশে কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহারের পর যে আলোচনা উঠেছে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রাখা হয় বহু দেশে বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ জমিরের কাছে।
কূটনীতিকদের প্রটোকলের বিষয়টি ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী দেওয়া হয়ে থাকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ।
২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি আর্টিজেন বেকারিতে হামলার পর সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি পুলিশসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হত ওই ছয় মিশনের দূতদের। সেটি প্রত্যাহার করা হলেও সাধারণ নিরাপত্তা বজায় আছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত হল, কোনো দেশের কূটনীতিকরা বাড়টি প্রটোকল চাইলে অর্থের বিনিময়ে সেটা তারা পাবে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে মোহাম্মদ জমির বলেন, “আমি নিজে সাত দেশে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। সেটা থেকে আমি বলছি, যখন আমি বাসা বা অফিস থেকে বাইরে যেতাম, সশস্ত্র নিরাপত্তার কোনো বিষয় ছিল না।
“একমাত্র যখন আমি ইতালিতে রাষ্ট্রদূত ছিলাম, কিছু লোক ইতালির প্রেসিডেন্টকে হামলা করেছিল, তখন আমি সশস্ত্র নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। যখন আমি গাড়িতে বাইরে যাব, সেখানে যাতে কেউ একজন থাকে।
“তারা বলল, ঠিক আছে। দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে থাকবে, যারা আপনি বাইরে বা কোথাও গেলে আপনার সামনের রাস্তা ফাঁকা করে দেবে। তবে আপনাকে সেজন্য অর্থ দিতে হবে।”
বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও সৌদি আরবের নিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ ধরনের পুলিশি পাহারা আপনি পাবেন না… সামনে দুই-তিনটা গাড়ি, পেছনে দুই-তিনট গাড়ি, কেন? আপনি যদি এটা চান, এর জন্য খরচ করুন। কোনো সমস্যা নেই।
“আমরা আপনার অফিস, দূতাবাসের সামনে বা হাই কমিশনারের বাসার সামনে বিশেষ নিরাপত্তা দেব। কিন্তু আপনি যখন, বাইরে ঘুরে বেড়াবেন, আপনার সহায়তা দরকার, ভালো। সেখানে বেশি লোক থাকবে, তাদেরকে অর্থ দিন।”
বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মজুরি কম কেন?
এক প্রশ্নে জমির বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের মজুরি অনেক কম। এর কারণ, যারা বিদেশে যায়, তাদের দক্ষতা থাকে না।
“অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে গিয়ে বাড়তি মজুরি পাওয়া যায় না। এ কারণে চলতি বছরের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষ কর্মী তৈরি করার ওপর।”
ভাষা সমস্যাও এর একটি কারণ জানিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, “ফিলিপিন্স, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কর্মী যেখানে যাবে সেখানকার ভাষায় শিখে যায়। যেমন মধ্যপ্রাচ্যে গেলে আরবি শেখে, ফ্রান্সে গেলে ফরাসি শেখে। আমাদের দেশের লোকদেরও একটা ভাষা শেখা উচিত।
“কারণ আপনি যদি একটা ভাষা জানেন, আপনার জন্য চাকরি পাওয়া সহজ এবং যেখানে যাবেন সেখানকার মানুষের সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলতে পারবেন।”
বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে সেবা ঠিকমত না পাওয়ার বিষয়ে প্রবাসীদের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে জমির দাবি করেন, দূতাবাস কর্মীদের সেবার মানসিকতা না থাকার অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি বলেন, “যখন দূতাবাসে যায়, কোনো কোনো সময় দেখা যায় কাগজপত্র সম্পূর্ণ না। কোনো কোনো সময় যখন কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকে, তখন এটা সম্পূর্ণ করতে হয়।
“আমি যখন ইতালিতে ছিলাম তখন দেখেছি, অনেকক্ষেত্রে কাগজপত্র সম্পূর্ণ থাকে না। তখন আমাদেরকে বলতে হয়, যান কাগজপত্র পুরোপুরি ঠিকঠাক করে নিয়ে আসেন।”
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের অনেক দূতাবাস সাহায্য করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তারা যদি এমন লোক পায়, যেখানে কাজ করছে সেই ভাষায় কথা বলতে পারে না, তাহলে তারা সাহায্য করতে পারে না।
“এটা কিছুটা পাল্টেছে, এখন আমাদের এক কোটির বেশি লোক বিদেশে কাজ করছে। এখান থেকে আমাদের রেমিটেন্স আসছে। দেখা যান, কী হয়।”