"এছাড়াও আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বন্যার্তদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, পরিধেয় পোশাক, নিত্য ব্যবহার্য জিনিসেরও ব্যবস্থা করছি।"
Published : 25 Aug 2024, 04:48 PM
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন দিচ্ছেন সরকারের কর কর্মকর্তারা।
রোববার সিভিল সার্ভিসের কর ক্যাডারভুক্ত সবার সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর কমিশনার মো. লুৎফুল আজীম জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "আমাদের সব স্টাফ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন আইবাস থেকে সরকারি প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে ক্রেডিট হয়ে যাবে।
"এছাড়া আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বন্যার্তদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, পরিধেয় পোশাক, নিত্য ব্যবহার্য জিনিসেরও ব্যবস্থা করছি।"
আজীমের ভাষ্য, "মঙ্গলবার থেকে কুমিল্লায় লাইভ কিচেনের ব্যবস্থা করব। প্রাথমিকভাবে এক হাজার মানুষের জন্য ব্যবস্থা করব। আর বন্যার পানি কমার সাথে সাথে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার বাড়ানোর সাথে সাথে আমরা কিচেনও বাড়াব।
বর্তমানে ফেনীর ফুলগাজীতে সংস্থার সহযোগিতায় একটি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকতা।
তিনি বলেন, “ওই ক্যাম্প থেকে এখন উদ্ধার কার্যক্রম চালান হচ্ছে, এটি শেষ হলে সেখানেও লাইভ কিচেনে যাব আমরা।”
ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বন্যা দুর্গত আরও কয়েক জায়গায় একইরকম কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি।
তিনি বলেছেন, বন্যার্তদের সহায়তা কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিটিআরসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতনের অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া একদিনের বেতন দিচ্ছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উজানের ঢল আর ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় বুধবার থেকে ডুবেছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এর মধ্যে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ফেনীতে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বন্যায় আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন। আর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি।