মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সমস্যা হলে দেখব, আশ্বাস মন্ত্রী ইমরানের

সরকার রেমিটেন্স বাড়াতে দক্ষ কর্মী পাঠানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান ইমরান আহমদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2022, 03:27 PM
Updated : 4 August 2022, 03:27 PM

মালয়েশিয়ায় কর্মীদের পাঠানোয় কোনো সমস্যা হলে কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হলে, তার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।

তিনি বলেছেন, “মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশ অংশে খোলা রয়েছে, তবে মালয়েশিয়া অংশে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটি সরকার দেখবে। চুক্তি করলাম। যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা আমরা দেখব।”

বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ভবণে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন ইমরান।

সরকার দক্ষ কর্মী পাঠানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন দেশে আমাদের কর্মীর চাহিদা রয়েছে। আমরাও ভাষার দক্ষতার উপর জোর দিচ্ছি। এসব বিষয়ে যদি আমরা ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারি, আমাদের রেমিটেন্স বাড়বে বলে আশা করছি।”

তিন বছর পর এখন বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়া। সে দেশের সরকারের সঙ্গে সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় নেওয়া, আবাসন, এবং দেশে ফেরত পাঠানোসহ মালয়েশিয়াপ্রান্তের যাবতীয় খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা।

প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী ইমরান। অনুষ্ঠানে ১৬২ জনের হাতে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেওয়া হয়।

ইমরান বলেন, “আমরা যদি বৃত্তি প্রদান করে একটা ছাত্রকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটা এক মহান কাজ হবে।”

অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে ৩০ হাজার কোটি টাকা লাগলেও, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের শন্তির কাছে এই ৩০ হাজার টাকা কিছু না।

“এই মুহূর্তে দেশের বাইরে মাথা উচু করার মতো দুইটা জিনিস আছে আমাদের। একটা স্বাধীনতা, আরেকটা হলো এই পদ্মা সেতু।”

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের টাকা উইথড্র করে নেওয়াটা বাংলাদেশের জন্য শাপেবর হয়েছে। তাদের (বিশ্ব ব্যাংকের) অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে আরও দুই তিন বছর লাগত কাজ শেষ করতে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়রানি এড়াতে দেশের মানুষকে সরকারের মাধ্যমে বিদেশে কাজে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, “সরকারের অ্যাফিলিয়েশন ছাড়া যারা যাচ্ছেন, তাদের যে কী ভয়ংকর অবস্থায় পড়তে হয়, চিন্তাও করতে পারবেন না। যারা হজে যান, সরকারি ম্যানেজমেন্টে যাবেন, সরকার হয়ত কমফোর্ট দিতে পারবে না, হয়ত হাইফাই ফ্যাসিলিটিস পাবেন না, কিন্তু কোনো চিটিং হবে না।

“প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে গেলে বড় একটা ভোগান্তির মাঝে পড়তে হয়। আর আমাদের দেশের মানুষের মাঝে একটা ইলিউশন আছে যে সৌদি আরব গেলেই অনেক টাকা পাওয়া যাবে; যাওয়ার আগে এগুলা চেক করে যাবেন।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।