এতে টাকার মান আরও এক দফা কমে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সায় নেমেছে।
বৃহস্পতিবার ডলারের দর বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েকটি ব্যাংকের চাহিদা মেটাতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, প্রতি ডলার ৮৯ টাকা ৯০ পয়সায় ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হয়েছে।
এদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত আসার আগে পর্যন্ত আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ছিল ৮৯ টাকা, যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
আর আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এ দর ছিল ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা।
এর আগে মে মাসে চার দফা অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল টাকার; সবশেষ ২৯ মে ১ টাকা ১০ পয়সা কমানো হয় দাম। এর আগে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা।
সাম্প্রতিক সময়ে চাহিদা সংকটে অস্থির হয়ে ওঠা ডলারের বাজারে প্রধান এ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণের অনুসরণ করে আসা ‘ম্যানেজড এক্সচেঞ্জ রেট’ দুপুরে তুলে নেওয়ার কথা ব্যাংকগুলোকে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
চাহিদা ও সররাহের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর কারণ হিসেবে ঊর্ধ্বমুখী ডলারের দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, “এখন থেকে ওপেন মার্কেট অনুযায়ী ডলারের দাম ঠিক হবে। এটি না করলে রেমিট্যান্স কমে যাবে বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’’
বাজারের উপর ছেড়ে দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের পরিস্থিতি মনিটরিং করবে বলে জানান মুখপাত্র।
ডলারের সংকটের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরেই রেমিটেন্স প্রবাহে ঋণাত্মক ধারা চলছে। সবশেষ মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ডলারের সরবরাহ বাড়াতে বিদেশ থেকে প্রবাসীদের আয় কিছুটা বেশি দরে হলেও আনতে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট দর তুলে দিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
উন্মুক্ত দর হওয়ার ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের আরও বেশি অর্থ দিয়ে ডলার আনতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।