রেলে অর্থ দিয়ে যাবে এডিবি: পরিকল্পনামন্ত্রী

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2022, 06:00 PM
Updated : 12 May 2022, 06:00 PM

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফররত এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিজিন চ্যান বৃহস্পতিবার পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে বৈঠকে অংশ নেন।

এরপর মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে আমরা বাংলাদেশের রেলের ব্যাপক উন্নয়ন করার কথা তাদের জানিয়েছি। রেলের আধুনিকায়ন করতে চাই। এখন ডুয়েলগেজ হচ্ছে আগামীতে এটা ব্রডগেজ হবে। সব জায়গায় আসা যাওয়ার আলাদা লাইন হবে। একটা আসার জন্য আরেকটা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এটার জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।

“ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাদের জানিয়েছেন, এডিবির টাকা আছে, অভিজ্ঞতাও আছে। তারাও রেলকে অগ্রাধিকার দিতে চান। ইতোমধ্যে তিন দোহাজারী কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প উনি পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশও করেন।”

“বৈঠকে দুই পক্ষের চাওয়া মিলে গেছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, এডিবির কাছে রেলের জন্য যা চাইবে, তাই দিতে রাজি আছেন,” বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি একইসঙ্গে বলেন, “তবে চাওয়ার প্রক্রিয়া সঠিক হতে হবে। অর্থাৎ যথাযথ প্রক্রিয়ায় চাইলে তারা আমাদের যত প্রয়োজন অর্থ দেবে।”

বৈঠকের পর শিজিন চ্যান বলেন, “এদেশের রেল যোগাযোগ খাত এগিয়ে নিতে বিনিয়োগে আগ্রহী এডিবি। বিদেশি বিনিয়োগে আগ্রহী করতে হলে যে কোনো দেশের জন্য রেলখাত উন্নয়ন জরুরি। যেমন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যদি প্রাইভেটকারে যায়, তবে কম করে হলেও ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু রেলপথে এর অর্ধেক সময় লাগবে। তাই রেলপথ ঢেলে সাজাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এডিবি।”

শিজিন চ্যান

উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এডিবির ভূমিকা স্মরণ করে মান্নান বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের থেকে এডিবি আমাদের বেশি টাকা ঋণ দিয়েছে। এডিবি আমাদের বহুমাত্রিক ঋণ দিচ্ছে। আমরা যে সব ক্ষেত্র পছন্দ করেছি, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রেল খাতে তারা এগিয়ে এসেছে। এডিবির সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক।

“কোভিডের সময় এডিবি আমাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছে। এটা আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল। টিকা সংগ্রহ করতে এডিবি ঋণ দিয়েছে। শিক্ষা খাতেও এডিবি অনেক বড় অবদান রেখেছে। এ বছর বাজেট সহায়তা হিসেবে এডিবি ৫০ কোটি ডলার দেবে। আগামী বছরও একই পরিমাণে বাজেট সহায়তা করবে এডিবি।”

ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ কখনও ‘ব্যর্থ হয়নি’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের কখনও রিমাইন্ডার দিতে হয়নি ঋণের কিস্তির বিষয়ে। যথাসময়ের আগেই আমরা ঋণ পরিশোধ করছি।

বৈঠকে এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের উপ-মহাপরিচালক মনমোহন পারকাশ, বাংলাদেশে এডিবির আবাসিক পরিচালক এদিমন জিনতিং, ঢাকা অফিসের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বর উপস্থিত ছিলেন।