সোমবার সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সৌদি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে যান বলে বেজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বন্দর ও ভারী শিল্পখাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগের বিষয়টি চলমান আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের অন্যতম আলোচ্য সূচি ছিল। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী সরেজমিন পরিদর্শন করে গেলেন প্রতিনিধি দল।
চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ৩০ হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী। জাপান, ভারতসহ অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য ইতোমধ্যেই জমি ইজারা নিয়েছেন।
পরিদর্শন দলে ছিলেন সৌদি বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান ওমার হারিরি, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনসুর আল তার্কি, ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এশা আলদুহাইলান।
বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ইরফান শরীফ, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক ও মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হাসান আরিফ, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারিসহ অন্যান্য কর্মকর্তা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন।
সৌদি দলটি শিল্পনগরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তারা সৌদি আরবের জন্য প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিও ঘুরে দেখেন।
জমি পেল কর্ণফুলী ড্রাইডক
এদিকে বিনিয়োগ সম্মেলনের সমাপনি দিনে চট্টগ্রামের আনোয়ারা অর্থনৈতিক অঞ্চল-২ এ কর্ণফুলী ড্রাইডককে ২১ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
এ বিষয়ে বিনিয়োগ সম্মেলনে কর্ণফুলি ড্রাইডক ও বেজা জমি ইজারার চুক্তি করে। বেজার নির্বাহী সদস্য আলী আহসান ও কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশীদ চুক্তিতে সই করেন।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোন কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের একটি প্রতিষ্ঠান, যা সমুদ্রগামী ও অভ্যন্তরীণ নৌযান নির্মাণ করে।
নতুন ভূমির ইজারা পেলে সেখানে ১১৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে জেটি ও কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে ড্রাইডক কর্তৃপক্ষ। এতে সেখানে অন্তত তিন হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।