সরকারি দরপত্রে ‘রড-পাথরের’ দাম সমন্বয় চায় এফবিসিসিআই

সরকারি নির্মাণ কাজে দরপত্র অনুযায়ী চুক্তি হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মূল্য সমন্বয়ের বিধান চালু করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2021, 04:44 PM
Updated : 28 Nov 2021, 04:44 PM

করোনাভাইরাস মহামারীর সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর দেশে রড-পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত শনিবার এক বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি এমন মতামত দেয়। 

চলতি বছরের শুরুতে ভালো মানের রডের দাম প্রতি টন ৫৪ হাজার টাকার মধ্যে থাকলেও সম্প্রতি তা বেড়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।

রডের পাশাপাশি ইট, বালি, পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রির দামও বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছে সরকারি দরপত্রে অংশ নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে যুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো।

রোববার এফবিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মহামারীর ধকল কাটিয়ে উঠে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন এ খাতের শিল্প্যোদ্যোক্তারা। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রীর অব্যাহত দাম বেড়ে যাওয়ায় উল্টো বিপাকে পড়েছেন।

“বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে, গত ৪ থেকে ৫ মাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রড, পাথর, ইট, বালু, থাইগ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম পণ্য, এসএস পাইপ, ইনডোর ফিটিংসসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রিও। ফলে লোকসানে পড়তে হচ্ছে নির্মাণ খাতের উদ্যোক্তাদের।“

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি বৈঠকে নির্মাণ কোম্পানিগুলো জানায়, সম্প্রতি দাম বৃদ্ধির কারণে, আগে থেকে করা চুক্তির মূল্য অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

অনেক সময়ই দরপত্র জমা দেওয়ার পর আগ্রিম কর ও ভ্যাটের হারসহ সরকারের আর্থিক নীতিতে পরিবর্তন করা হয় বলেও বৈঠকে জানানো হয়।

এসব ক্ষেত্রে সরকারি দরপত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে ‘মূল্য সমন্বয়ের বিধান’ বা ‘প্রাইস ভ্যারিফিকেশন ক্লজ’ থাকা উচিত বলে মনে করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।

বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের ৫৬ দিন পার হলে, দেরিতে টাকা পরিশোধের বেলায় সুদ আরোপের প্রস্তাব করেন কয়েকজন নির্মাণ ব্যবসায়ী।

এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে। তাই স্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো দরকার। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য এফবিসিসিআই সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেবে।

বৈঠকে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম ও রেজাউল করিম রেজনু, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ার‌ম্যান ও স্পেকট্রা লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খান মো. আফতাবউদ্দীন, কো চেয়ারম্যান ডিয়েনকো লিমিটেডের এমডি এস.এম খোরশেদ আলম, পরিচালক ও নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ প্রকৌশলী গোলাম মো. আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।