কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (সিপিএস) নামে ২০২১-২০২৫ মেয়াদে নতুন এই কৌশলপত্র চালুর কথা মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
প্রতিযোগিতাসক্ষমতা, কর্মসংস্থান ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন; সবুজ প্রবৃদ্ধি ও জলবায়ু অভিযোজন বাড়ানো এবং মানব পুঁজি ও সামাজিক প্রতিরক্ষা জোরদার করা এই নতুন কৌশলপত্রের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা, এই কৌশলপত্র আগামী পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে তা অর্জনে সহায়তা করবে।
“এটা কোভিড-১৯ মহামারীর থেকে সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত পুনরুদ্ধারেও সহায়তা করবে। আগের পাঁচ বছরের ৯৬০ কোটি ডলারের জায়গায় এই পাঁচ বছরে এডিবি বাংলাদেশে তার ঋণ কার্যক্রম এক হাজার কোটি থেকে ১২০০ কোটি ডলার পর্যন্ত বাড়াবে।”
নতুন কৌশলপত্রের আওতায় সংস্থাটির কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ অর্থ সহায়তা পেতে যাচ্ছে, তা আগের পাঁচ বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।
এডিবি বলছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে এডিবি। এর বাইরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য সরকার ১০০ কোটি ডলারের কর্মসূচিভিত্তিক বাজেট সহায়তা চেয়েছে। এর মধ্যে ২৫ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ ২০২১-২০২৩ সালের মধ্যে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও যথাযথ নীতিগত উদ্যোগ বাংলাদেশের উন্নয়নে ভালো ফলাফল এনে দিয়েছে। এখন সামনে এগোনোর জন্য চাই, শিল্প ও রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনা।
“কৃষি পণ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল ও ওষুধের মতো শিল্পখাত ও রপ্তানি সামগ্রীর বৈচিত্র্যায়নের সঙ্গে বাড়তি প্রতিযোগিতাসক্ষমতা এবং নতুন নতুন বাজারে প্রবেশাধিকার কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি বাংলাদেশে তার বেসরকারি খাতের কার্যক্রম আরও প্রসারিত করবে এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে। ব্যাংকিং খাতের উন্নতি, ব্যবসা সহজীকরণ, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে, বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।