বুধবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৪ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ। এই হিসেবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হয় ২৯২ দশমিক ১১ মার্কিন ডলার।
প্রতি ডলার ৮৫.২১ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা ৬৯ পয়সা। ২০১৯ সালেও এর পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার টাকার মত।
সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অর্থায়নের জন্য ঋণ চুক্তি করে। নির্ধারিত সময়ে কিস্তিতে কিস্তিতে সুদসহ সেই অর্থ ফেরত দিতে হয়।
দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যত বেড়েছে, বিদেশি ঋণও তত বেড়েছে। তাতে এক দশকে মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে প্রায় ছয়গুণ।
চলতি অর্থ বছরের জন্য ৬ লাখ কোটি টাকার যে বাজেট সরকার করেছে, তার মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা বিদেশ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। তাতে অর্থবছর শেষে মাথাপিছু ঋণের স্থিতি আরও বাড়বে।
সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদে জানান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার সাথে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ চুক্তির পরিমাণ ৯৫ হাজার ৯০৮ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় হয়েছে। ছাড়ের অপেক্ষায় আছে ৪৬ হাজার ৪৫০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।