সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রোববার এবিষয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে বিশ্ব ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দরিদ্র ও অতি দরিদ্র মানুষদের জন্য উপার্জন কর্মকাণ্ড, জীবিকা ও উদ্যোক্তা সেবার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে রেসিলিয়েন্স, অন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট (আরইএলআই) নামে প্রকল্পটি ৩ হাজার ২০০ গ্রামের অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙা করতে সহায়তা করবে।
এই প্রকল্প জলবায়ু ঝুঁকি, অভিযোজন ও ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরির বিষয়ে প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রকল্প দুর্যোগে টিকে থাকতে সক্ষম ছোট আকারের অবকাঠামোও নির্মাণ করবে।
সহজ শর্তে স্বল্প সুদের এই ৩০ কোটি ডলারের ঋণ ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের আইডিএ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।
এ ছাড়া স্বাধীনতার পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের অনুদানসহ সুদবিহীন ও স্বল্প সুদের ঋণ দিয়েছে।
দক্ষতা ও জীবিকার জন্য বাংলাদেশকে বিশ্ব ব্যাংকের ৬০ কোটি ডলার ঋণ
এর আগে ২২ মে এই প্রকল্পসহ ৩০ কোটি ডলারের দুটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে মোট ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ব ব্যাংক।
দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত ৩০ কোটি ডলারের অপর প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লাখের বেশি তরুণ ও বিদেশফেরত শ্রমিক ভবিষ্যত গড়তে কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারবেন।
করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালে বা মহামারীর পর শ্রমবাজারে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে তরুণ, নারী ও প্রতিবন্ধী সুবিধাবঞ্চিতরা এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ পাবেন।