বৃহস্পতিবার ঢাকায় খাদ্য ভবনে ‘বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম’ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বাড়ানো যায় সেজন্য স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে। আরও পাঁচটি স্টিল সাইলো শিগগিরই নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
“স্টিল সাইলোতে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে, যা দুই বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুণগতমান ও পুষ্টিমান অক্ষুণ্য রাখবে।”
সরকারের খাদ্যের মজুদ কমে গেছে বলে অনেকে মনে করলেও তা সঠিক নয় বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য মজুদের পরিমান আরও বাড়ানো হবে।”
তিনি আরও বলেন, কৃষকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেওয়া সম্ভব হবে। স্টিল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব হবে।
অনু্ষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বেক্সিমকো কম্পিউটার্সের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদপ্তরের ৬৪ জেলায় ১২শ সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং চালু করবে। একই সঙ্গে অধিদপ্তরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিতে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে।
অধিদপ্তরের সঙ্গে কনফিডেন্স ইনফ্রাষ্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ ও জিএসআই ইউএসআই জেভির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বরিশালে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার স্টিল সাইলো নির্মাণ করবে জিএসআই।