খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক দরপত্রে সময় কমানোর উদ্যোগ

জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যপণ্য কেনাকাটায় দরপত্রের সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2021, 01:19 PM
Updated : 10 Feb 2021, 01:19 PM

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যর দাম বার বার ওঠানামা করার পরিপ্রিক্ষিতে দরপত্রের সময় সংক্রান্ত আইন ও বিধি সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার খাদ্য অধিদপ্তর রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে চাল ও গম আমদানির লক্ষ্যে ক্রয় প্রক্রিয়ার সময় হ্রাস করার নীতিগত অনুমোদন চেয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় আবেদন উত্থাপন করেছিল।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “আন্তর্জাতিক টেন্ডার করার পরে ৪০ থেকে ৪২ দিন অপেক্ষা করার কথা বলা ছিল। কিন্তু কিছু পণ্য আছে, যেমন- পেঁয়াজ, চাল, তেল- এ জাতীয় জিনিসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই বাড়ে-কমে। সেখানে এত লম্বা সময় কোনো টেন্ডার অপেক্ষা করেনা।

“প্রাইস অ্যাকটিভ রাখার জন্য যে সময়টা যথাযথ মনে করি তা হচ্ছে ম্যাক্সিমাম ওয়ান উইক। উইদিন দিস টাইম তারা প্রাইস জানাবে। আমরা আমাদের দিক থেকে প্রকিউরমেন্টের যেসব নিয়ম কানুন আছে সেগুলো ফলো করব। এলসি খুলব, আরও যা যা করার দরকার সেগুলো করব।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আইএমইডির আইন ও বিধি সংশোধন সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগে আইএমইডি আমাদের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধির সময় সংক্রান্ত বিষয়টি সংশোধন করবে। অন্য কিছু না।”

“আইনে আছে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ মার্কেট থেকে কিছু কিনলে প্রয়োজনে সময় কমানো যাবে। আন্তর্জাতিক প্রকিউরমেন্ট সম্পর্কে কিছু বলা ছিলনা। আমরা বুঝতে পারলাম আন্তর্জাতিক বাজার অত্যন্ত ভলেটাইল। চাল, তেল, গমসহ এসব জিনিসের দাম উঠানামা করে খুব দ্রুত। সে জন্য কম সময় দরকার এখানে। বেশি সময় দিলে পরে আমরা কমপিটিটিভ প্রাইস পাবনা। আন্তর্জাতিক বিডাররা বিড করবেনা। সেজন্য আমরা আইনটা সংশোধন করছি।”

চাল আমদানির বিষয়গুলো অনুমোদন হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভারত থেকে চাল আমদানি হবে। ওই প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে নিয়ে আসবে।”

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দুটি।

এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ডেভেলপিং রিডিং হ্যাবিট প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টশন ম্যানেজম্যান্ট সার্ভিসের আওতায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রকে দুই বছরের জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় হচ্ছে ৮২ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৭৫৬ টাকা।

শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্পের আওতায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে বিআরবি কেবল থেকে ১০৭ কোটি ৯৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৪ টাকায় ২৬৪ কিলোমিটার ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি সাবমেরিন কেবল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।