দারিদ্র্যের হার নিয়ে সানেমের তথ্য মানতে নারাজ পরিকল্পনামন্ত্রী

করোনাভাইরাস মহামারীতে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম যে তথ্য দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2021, 01:43 PM
Updated : 24 Jan 2021, 01:50 PM

তিনি পাল্টা দাবি করেছেন, প্রণোদনা প্যাকেজসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতি প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “এ অবস্থায় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে বলে সানেম যে তথ্য দিয়েছে, তা কোনোভাবেই সঠিক নয়। তাদের পুনরায় ভালো করে খোঁজ নেওয়ার দরকার আছে বলে আমি মনে করি।

“আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ‘ধারণা জরিপ’ করেছি। তাতে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ২২ থেকে ২৩ শতাংশের মধ্যে। তাই সানেমের তথ্য মেনে নিতে পারছি না।”

রোববার ঢাকার এফডিসিতে ‘শিল্প খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

শনিবার সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান তাদের এক গবেষণা জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর অর্থনৈতিক প্রতিঘাতে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ দেখিয়েছিল। তার উপর ভিত্তি করে ২০১৮ সালে সানেমের গবেষণায় দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৬০ শতাংশে নামার তথ্যও জানান তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, “এ কথা ঠিক যে করোনাভাইরাসের অভিঘাত মোকাবেলায় সরকারি প্রণোদনার প্রবাহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পৌঁছায়নি।

“তবে মহামারীর এই কঠিন সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার তার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছে। প্রথমদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রণোদনা দিতে গিয়ে তাড়াহুড়ার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তিরা সেই প্রণোদনা পায়নি। এতে ১০ থেকে ১১ শতাংশ মিস ফায়ারিং হয়েছে।”

মান্নান বলেন, বিনামূল্যে ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও দু-একটি দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গৃহহীনদের জন্য এই ধরনের ব্যাপক আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

প্রতিযোগিতায় ঢাকা কমার্স কলেজকে পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।