বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রের ‘সংযোজন কারখানা করবে’ মাহিন্দ্র

ভারতের প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেড বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির সংযোজন কারখানা করবে বলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2021, 03:22 PM
Updated : 12 Jan 2021, 03:22 PM

মঙ্গলবার মাহিন্দ্রর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পবন গোয়েঙ্কার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে তিনি এই তথ্য জানান।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “ভারতের মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেড বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির সংযোজন কারখানা করবে। এছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর করতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করবে তারা।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক। সেজন্য মাহিন্দ্র এখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আজকে যে সকল বিষয় আলোচনা হয়েছে তা বাস্তবে রূপ দিতে পারলে যান্ত্রিকীকরণে সাফল্য আসবে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে তা বিরাট ভূমিকা রাখবে।”

কৃষিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার ‘প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের, যা বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে’। এ বিশাল বাজারে ভারতের বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।

কৃষি যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি কিনতে পারেন না- এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তারা বাংলাদেশের কৃষকদের ঋণ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেও বলে জানান তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে। কৃষি শ্রমিকেরা কৃষি কাজ থেকে শিল্পসহ অন্যান্য খাতে চলে যাচ্ছে। ফলে শ্রমিকের দাম অনেক বেশি ও কৃষক কৃষি কাজে লাভবান হচ্ছে না। সেজন্য সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।”

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রৌফ, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ফার্ম ইক্যুইপমেন্ট সেক্টরের (এফইএস) প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা, এফইএসের সিইও প্রকাশ ওয়াকানকার, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রবিন কুমার দাশসহ শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘কৃষি খাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্সের’ ফলোআপ হিসাবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।