রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
একযুগের শাসনে জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগের অবদান জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “সরকারের যে দায়িত্বটি আমি পালন করছি সেখানে চারটি মেগা প্রজেক্ট আছে, সেগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলি টানেলের কাজ এগিয়ে চলছে, গতি পেয়েছে।”
“সবগুলো আগামী ২০২২ সালে উদ্বোধন করতে পারব। … ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই আমরা এই প্রকল্পগুলো চালু করব।”
চার প্রকল্পের মধ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বেরের মধ্যে মেট্রোরেল চালু যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা যথাসময়ে অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে জানান মন্ত্রী।
মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে অবরুদ্ধ পরিস্থিতে চলে যায় পুরো দেশ। এ অবস্থায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলোও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়।
লকডাউন উঠে যাওয়ার পর অক্টোবর থেকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রকল্পগুলোতে আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়।
৪১তম স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর পুরো মূল কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে গত ডিসেম্বরে।
সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ বছরের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “গতকাল সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক করেছি। প্রায়োরিটি, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। বিশ্বব্যাংকও একটা ফান্ড আমাদের দিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, শৃঙ্খলা না থাকলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে।”