বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ২০ মার্চ ‘বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিংলাইন্স/এয়ারলাইন্স কোম্পানির বিদেশ অফিসে (বাংলাদেশ সরকার বা সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) এবং বিদেশি শিপিংলাইন্স/এয়ারলাইন্সে কর্মরত বাংলাদেশি মেরিনার/এয়ার ক্রাফট পাইলট এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে-জাতিসংঘ বা অন্যান্য সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি মিশনে (বাংলাদেশ সরকার বা সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা বিদেশে অবস্থানকালে অর্জিত অর্থ বৈধ উপায়ে দেশে পাঠালে তাদের নগদ সহায়তা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কিন্তু ‘অবিলম্বে’ কার্যকর বলতে কোন সময় বোঝানো হচ্ছে, তা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হওয়ায় কোনো কোনো ব্যাংক সার্কুলারের তারিখ থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিচ্ছে।
সেই বিভ্র্রান্তি দূর করতে বৃহস্পতিবারের সার্কুলারে বলা হয়, “এ নির্দেশনা ১ জুলাই, ২০১৯ হতে কার্যকর হবে এবং অনুগ্রহপূর্বক সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন।”
গত বছরের জুলাই থেকে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার স্বজন ১০২ টাকা পাচ্ছেন।
এই ২ শতাংশ প্রণোদনা শুরু থেকেই অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকেই পাইলট ও জাহাজের নাবিকরা পাবেন।