৭ কোটি পাঠ্যবই সরবরাহে ক্রয় প্রস্তাবে সায়

আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরের (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2020, 12:37 PM
Updated : 19 August 2020, 01:03 PM

৭ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৩৭৩টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য ব্যয় হবে ১৩২ কোটি ৪১ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৬ টাকা।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ৭ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৩৭৩টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।

“৯৮টি লটে ১০২২টি দরপত্র জমা পড়ে এবং ১০২০টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। তার মধ্য থেকে ৯৮টি লটের বিপরীতে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৩২ কোটি ৪১ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৬ টাকায় ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।”

অর্থমন্ত্রী জানান, এসব ক্রয়ে ১০ শতাংশ সিকিউরিটি মানি নেওয়া হচ্ছে, তা বাড়ানোর প্রস্তাব সভায় উঠলেও বাড়ানো হয়নি।

“প্রতি বছর আমরা একটা উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ করি। এ বছরও আমরা সেটি করবো বলে আশা করছি,” বলেন মুস্তফা কামাল।

সভায় এক লাখ ৫০ হাজার টন মেরিন ফুয়েল (০.৫% সালফার) আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। 

অর্থমন্ত্রী জানান, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য মেরিন ফুয়েল আমদানিতে দরপত্র আহবান করলে ৪টি প্রতিষ্ঠান হতে দর প্রস্তাব পাওয়া যায় এবং ৪টি প্রস্তাবই ‘রেসপনসিভ’ হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ইনএনওসি সিঙ্গাপুর থেকে ২২২কোটি ৫ লাখ টাকায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন মেরিন ফুয়েল (০.৫% সালফার) আমদানির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরেকটি প্রস্তাবে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য জি-টু-জি ভিত্তিতে মেরিন ফুয়েল আমদানিতে ৬টি জি-টু-জি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট কোটেশন আহ্বান করলে ৪টি প্রতিষ্ঠান হতে কোটেশন প্রস্তাব পাওয়া যায়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের পিটিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং থেকে ২১৬ কোটি ৭ লাখ টাকায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন মেরিন ফুয়েল (০.৫% সালফার) আমদানিতে সায় দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম হওয়ায় জিটুজি ভিত্তিতে তেল কেনায় লাভ বেশি তাই আগামীতে জিটুজি ভিত্তিতে তেল কেনা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম হওয়ায় দেশীয় বাজারে দাম সমন্বয় করা দরকার কি না- এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন,“(জ্বালানি) মিনিস্ট্রি উদ্যোগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এটাই প্রত্যাশা করব।”