করোনাভাইরাস সংকটে উদ্যোক্তাদের আস্থায় ধস: সমীক্ষা

করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশের ব্যবসা ও শিল্প উদ্যোক্তাদের আস্থায় বড় ধরনের ধস নেমেছে বলে একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2020, 06:29 PM
Updated : 23 July 2020, 06:29 PM

বৃহস্পতিবার এক অনলাইন অনুষ্ঠানে প্রকাশিত বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লাইট ক্যাসল পার্টনার্সের (এলসিপি) ‘বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স-২০১৯-২০’- এ দেখা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে দেশের উদ্যোক্তাদের আস্থার সূচক মাইনাস ১৯ দশমিক ২৭ পয়েন্টে নেমেছে। যেখানে আগের বছর বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের আস্থার সূচক ছিল প্লাস ৪৩ পয়েন্ট।

সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংকটের এই সময়ে চীন থেকে পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিমুখী বিভিন্ন খাতের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামাল সরবরাহ কমে যাওয়ায় উদ্যোক্তাদের মাঝে এই আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।

গত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ৫৯টি খ্যাতনামা বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই ইনডেক্স তৈরি করা হয়। 

এলসিপি আয়োজিত সূচক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ, মেট্টোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এমএসসিআই)-এর সভাপতি নিহাদ কবির, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লাইট ক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে লাইট ক্যাসল পার্টনার্সের পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলমান অর্থনৈতিক ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে।

“এই সমীক্ষায় সাক্ষাৎ প্রদানকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই মনে করেন, করোনার প্রভাবে গত ছয় মাসে দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি ধস নামে। ৪০ শতাংশ ধারণা করছেন, এর প্রভাবে পোশাক, টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পে সবচেয়ে বেশি হারে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।”

এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। চ্যালেঞ্জগুলো হল- ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, বেসরকারি খাতে নিম্নতর ঋণপ্রবাহ, সরকারি সঞ্চয় স্কিমে সুদের হার কমে যাওয়া।

আলোচনায় নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের এখন অর্থনীতির নির্দিষ্ট খাতের পরিবর্তে প্রতিটি খাতকে গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করার সময় এসেছে। এই পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে যেতে পারব।”