বৃহস্পতিবার আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৭৪৯ টাকা। সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে হয় ৩ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ থেকে বেড়েছে ৭১ কোটি টাকা।
সরকার নিপীড়নের শিকার নারী ও শিশুদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও শিশু কল্যাণ নিশ্চিত করতে শিশু অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, সকল জেলায় শিশু কমপ্লেক্স নির্মাণ ও সকল উপজেলায় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি।
এখন শিক্ষার সব স্তরে মেয়েদের অংশগ্রহণ ছেলেদের তুলনায় বেশি বলে উল্লেখ করে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের সব অঞ্চলে নারী-পুরুষের সমতা অর্জিত হয়েছে। শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কর্মক্ষেত্রেও নারীর অধিকহারে অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করেছে, যা সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের পাঁচটি ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে।“
দেশে কৃষির বাইরে উপার্জনশীল শ্রমশক্তির ৪১ শতাংশই নারী বলে জানান মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, “জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে বাংলাদেশ ১৫৩টি দেশের মধ্যে ৫০তম স্থান নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।”