‘লকডাউন’ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সুপারিশ

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করে দেশব্যাপী অবরুদ্ধ অবস্থা আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সুপারিশ এসেছে একটি সংলাপ থেকে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2020, 01:24 PM
Updated : 1 June 2020, 01:24 PM

এসডিজি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘সাধারণ ছুটি পরবর্তী- স্বাস্থ্য ঝুকি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা সরকারের কাছে এ সুপারিশ করেন।

এসডিজি প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়াটার এইডের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের পরিচালক খায়রুল ইসলাম।

দেবপ্রিয় বলেন, “সরকার এমন এক সময়ে লকডাউন তুলে নিল যখন আক্রান্ত এবং মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হচ্ছে।

“প্রয়োজনে লকডাউন যদি আরও ১৫দিন পুনর্বিবেচনা করতে হয় সেটা কোনও দুর্বলতা হবে না। এটা শক্তির লক্ষণ হবে যে আমরা সংবেদনশীল।”

আলোচনায় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, “আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে টেস্ট করা। আমরা টেস্টিং কিটসগুলো কেন জনসাধারণের কাছে পৌছে দিচ্ছি না। প্রত্যেক জেলায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ আছে তারা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবে।”

সরকার যেন ব্যাপকভাবে টেস্টের ব্যবস্থা করে, সেই সুপারিশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া যেতে পারে, বলেন তিনি।

আলোচনায় ব্রাকের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী বলেন, ‘লকডাউন’ তুলে নেওয়ায় পোশাক শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ব্র্যাকের এক সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “লকডাউন চলাকালে পোশাক খাতে চাকরি করা ৭৩ শতাংশ নারী এবং ৬৭ শতাংশ পুরুষ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না।  

“পোশাক কারখানায় কাজ করা ১৩ শতাংশ পরিবার বাল্য বিয়েদিচ্ছেন। মূলত তাদের খাওয়াতে না পারায় তারা বাল্য বিয়ে দিচ্ছেন। আবার ৩২ শতাংশ পরিবারের মধ্যে অশান্তি বেড়ে গেছে লকডাউনের সময় তাদের আয় না থাকার কারণে।”

তারপরও প্রাণ বাঁচাতে ‘লকডাউন’ বাড়ানোর সুপারিশ করেন এই ব্র্যাক কর্মকর্তা, তবে তাদের খাবার নিশ্চিতের কথাও বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে এসডিজি প্ল্যাটফর্মের কোরগ্রুপের সদস্য মোশতাক আহমেদ ‘লকডাউন’ ধাপে ধাপে তোলার সুপারিশ করেন। ব্যাপকভাবে নমুনা পরীক্ষার সুপারিশও করেন তিনি।