মজুদ আছে ১০ লাখ টন সার: শিল্পমন্ত্রী

করোনাভাইরাস সঙ্কটে কৃষি উৎপাদন জোরদার করতে পর্যাপ্ত সার সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2020, 04:30 PM
Updated : 14 May 2020, 04:30 PM

বর্তমানে দেশে সাড়ে ১০ লাখ টন সার মজুদ রয়েছে বলে জানিয়ে কৃষকদের পর্যাপ্ত সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সভায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর-সংস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গতিশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
“বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) আওতাধীন সার কারখানা ও বাফার গোডাউনগুলোতে বর্তমানে ১০ লাখ টন সার মজুদ আছে। করোনা পরিস্থিতি কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের সর্বত্র কৃষকদের কাছে পর্যাপ্ত সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।”

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চিনিকলগুলোতে মজুদ চিনি দ্রুত বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও দেন তিনি।

শিল্প সচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

কামাল মজুমদার বলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ব চিনিকলগুলোকে লাভজনক করতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনকে আরও তৎপর হতে হবে।”

চিনিকলগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

“সুগার কর্পোরেশনের অনুমোদন ছাড়া কোন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনোভাবেই কাউকে নিয়োগ দিতে পারবেন না। চিনির উৎপাদন বাড়াতে উন্নত জাতের আখ উৎপাদন করতে হবে এবং আখ চাষিদের কাছ থেকে কেনা আখের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।”

ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

একই স্থানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)-এর অর্থায়নে কয়েকটি ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানি, টিকে গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোজ্যতেল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার শ্রমিক-কর্মচারিদের জন্য ৫০টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, ২৫ হাজার প্রোটেকটিভ মাস্ক, ২৫ হাজার প্রোটেকটিভ গ্লাভস, ১২ হাজার হেড মাস্ক ও ১২৫ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

গেইনের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দেশে ছোটবড় ২৫টি ভোজ্যতেল প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।