অসুযায়ী আমানতের সুদ প্রদান অথবা হিসাবে ক্রেডিট করার সময় উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুরোধে এ নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কাছে পাঠানো ‘বিভিন্ন প্রকার আমানত/সঞ্চয় স্কিমের সুদের উপর উৎসে আয়কর কর্তন ও জমাদান’ শীর্ষক সার্কুলারে এনবিআরের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি এনবিআরের উৎসে কর কর্তন যাচাই সংক্রান্ত কমিটির সমন্বয়কারী এস এম আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ ব্যাংকে লেখা এক চিঠিতে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৫৩ ধারা অসুযায়ী বিভিন্ন প্রকার আমানত বা সঞ্চয় স্কিমের সুদের উপর উৎসে কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান।
এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়, আমানতকারী ১২ ডিজিটের টিআইএনধারী হলে ১০ শতাংশ; আর তানাহলে ১৫ শতাংশ উৎসে কর কাটতে হবে।
এছাড়া সকল প্রকার কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত ফান্ড যেমন- পেনশন ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি ফান্ডের আমানতের সুদের উপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটতে হবে। কল মানি আমাননের ক্ষেত্রে পরিশোধিত সুদের উপর ১০ শতাংশ কর কেটে রাখতে হবে। বিদেশি উৎস থেকে গৃহীত আমানতের উপরেও একইভাবে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
“এমতবস্থায় সকল প্রকার আমানতের সুদের উপর আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী কর কর্তন করে হিসাব কোড অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমাদান নিশ্চিত করতে সব শাখা প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।”
চিঠিতে কোম্পানি করদাতাদের জন্য এবং কোম্পানি ছাড়া অন্য করদাতাদের জন্য আয়কর জমা দেওয়ার আলাদা দুটি কোডও উল্লেখ করা হয়েছে।