নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ৩-৪ বছরের মধ্যে: নসরুল

আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার আশা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2019, 03:56 PM
Updated : 11 Nov 2019, 03:56 PM

সোমবার সংসদ অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে গত ১০ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন পাঁচ গুণের মতো বেড়েছে।

পিডিবির হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি। সারাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ বিদ্যুতের আওতায়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ৫০ বছর লেগেছে। বাংলাদেশের এত সময় লাগবে না।

“সরকার কখনোই বলেনি যে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গেছে। তবে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করা সম্ভব হবে।”

পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ চলছে এগিয়ে

চট্টগ্রামের এম এ লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ইডকলের অর্থায়ন ও টিআর/কাবিটা প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে সৌর বিদ্যুতের গ্রাহক ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩টি। এরমধ্যে ইডকলের নিজস্ব অর্থায়নে ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯১, টিআর/কাবিটা প্রকল্পের অধীনে ইডকলের স্থাপিত গ্রাহক ১১ লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ এবং অন্যান্য সংস্থার স্থাপিত ৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৪।

মানিকগঞ্জের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১০ কিলোওয়াট ঘণ্টা। সারাদেশে অফগ্রিড এলাকায় স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯টি।

বগুড়ার গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ১০ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

বিএনপির এই সংসদ সদস্যের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে (২০০৯-১৯) এ পর্যন্ত গৃহস্থালি, বিদ্যুৎ ও সার খাতে ৪ বার, শিল্প, ক্যাপটিভ পাওয়ার, চা ও বাণিজ্যিক খাতে ৫ বার এবং সিএনজি খাতে ৬ বার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সকল শ্রেণির গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের আব্দুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ছয়টি গ্যাস কোম্পানির আওতায় বর্তমানে ৪২ লাখ ৯০ হাজার গৃহস্থালি সংযোগ রয়েছে। অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত তিতাস ও কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির আওতায় দুই লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬টি প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এ হিসেবে আবাসিকের ৬ শতাংশ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় এসেছে।

ঢাকা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আবাসিক এলাকায় গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংযোগ প্রদানের কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার ও বিকল্প জ্বালানি সহজলভ্য হওয়ায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগ স্থগিত আছে। বর্তমানে বাসাবাড়িতে পাইপলাইন গ্যাসের পরিবর্তে এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।”

আরও ১১ টিভি সম্প্রচারের অপেক্ষায়

টাঙ্গাইলের আহসানুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৪৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পূর্ণ সম্প্রচারে আছে ৩০টি। এছাড়া ১১টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে এবং ৩টি ফ্রিকোয়েন্সি পায়নি।

অপেক্ষায় থাকা টিভি চ্যানেলগুলো হলো- আবদুল্লাহ আল মামুন কৌশিকের চ্যানেল-২১, নুর মোহাম্মদের উৎসব, মোহাম্মদ সাইফুল আলমের রংধনু, ধানাদ ইসলাম দীপ্তের তিতাস, তানভির আবিরের খেলা টিভি, জিনাত চৌধুরীর আমার টিভি, মামুনুর রশীদ কিরণের গ্লোবাল টিভি, মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সিটিজেন টিভি, তানজিয়া সিরাজের প্রাইম টিভি, শীলা ইসলামের স্পাইস টিভি ও আবুল বাশার মোহাম্মদ রকিবুল বাসেতের টিভি টুডে।

ভোলার নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাব হাছান মাহমুদ জানান, সম্প্রচার আইন ২০১৮ (খসড়া) মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। ভেটিংয়ের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বাইরে ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কিমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তানে বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্প্রচার হচ্ছে।