দেশে কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ১৮ লাখ

আসন্ন ঈদে কোরবানির জন্য ১ কোটি ১৮ লাখ পশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2019, 05:50 PM
Updated : 17 July 2019, 05:50 PM

বুধবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলনে সপ্তম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর কোরবানির প্রাণীর চাহিদা ছিল ১ কোটি ৫ লাখ। এবছর চাহিদা এক কোটি সাড়ে ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ। তবে কোরবানির জন্য প্রাণী প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ।

তিনি বলেন, “অনেকে বলে থাকে ভারত থেকে, মিয়ানমার থেকে এখানে গাভী ঢোকে। কিন্তু চার বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চোরাই পথে কিংবা লিগ্যাল পথে মাত্র ৯০ হাজার প্রাণী বাংলাদেশে ঢোকে। কাজেই প্রাণী দিয়ে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।”

বন্যায় অনেক পুকুর ভেসে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের সহায়তার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে আমরা মাছের পোনা দেব এবং বিভিন্নভাবে দেখব, সহযোগিতা করব।”

ডিসিদের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এই মুহূর্তে ধানের দাম অস্বাভাবিক কম। এ ধরনের দাম থাকলে কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ন্যায্য মূল্যের তো প্রশ্নই ওঠে না।
কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে দেড় লাখ টন ধান কেনা হত, এখন পর্যন্ত ৫০ ভাগ কেনা হয়নি। সেটা আবার চার লাখ টন কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে

“সেজন্য আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের সবাইকে বলেছি, তারা যেন সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে তালিকা প্রস্তুত করে ধান কেনেন।”

ধান কেনা বৃষ্টির কারণে শ্লথ হচ্ছে বলে জানিয়ে রাজ্জাক বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে সামনে মানুষ আর বোরো ধান করবে না এবং মানুষ ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য আমরা চাচ্ছি যে কোনোক্রমে যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”

সরকারের গুদাম সঙ্কটের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সামনের বছর যদি সরকার মিলারকে ৫০০ টন চাল দেন, সেই মিলারকে ৫০০টন ধান কিনতে হবে।

“সরকারের ধান মিলারের কাছে গেল। মিলার এটাকে ক্রাশ করে সেখানে রেখে দেবে, তার জন্য আমরা সেই মিলারকে খরচ দেব।”

তিনি বলেন, “আমি জেলা প্রশাসকদেরকে বলেছি সুষ্ঠু একটি পরিকল্পনা করে আগামী বোরোতে যেন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি আরও বেশি ধান কেনা যায়।”