গরিব মানুষ ভাবে বাজেটে বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম: জরিপ

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে পরিচালিত এক জরিপের তথ্য উঠে এসেছে, দুই-তৃতীয়াংশ লোক মনে করে বাজেট ঘোষণার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যর দাম বাড়ে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 07:24 PM
Updated : 25 June 2019, 07:24 PM

জরিপে অংশ নেওয়া ২০ শতাংশ মনে করেন, বাজেটের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব জনজীবনে পড়ে না। ১৭ শতাংশ জানেনই না, বাজেট কী?

দেশের দরিদ্র ও অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর বাজেটে কী ধরণের প্রভাব ফেলে এবং এতে কী ধরনের ন্যূনতম পরিবর্তন আনা হলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে-সে বিষয়ে ব্র্যাক, গবেষণা সংস্থা আইসোশ্যাল ও উন্নয়ন সমন্বয় একটি সম্মিলিত গবেষণা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই গবেষণা ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে।

মঙ্গলবার সিরডাপ মিলানায়তনে গবেষণাপূর্ব এ জরিপের ফলাফল নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, বাজেটে বিদ্যমান বিভিন্ন অগ্রাধিকার সম্পর্কে জনভাবনার বিষয়ে জরিপে বেরিয়ে এসেছে দুই-তৃতীয়াংশ লোক মনে করে বাজেট ঘোষণার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যর দাম বাড়ে।

“পাঁচভাগের এক ভাগ মনে করে বাজেটের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব জনজীবনে পড়ে না। ১৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বাজেট কী তা জানেন না।”

জরিপে শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ এবং কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি এসেছে বলে জানান তিনি।

আতিউর বলেন, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা শুরু করা হলে সামাজিক সুরক্ষা আরও এগিয়ে যাবে।

বর্তমানে আয়ের বৈষম্য বাড়ছে মন্তব্য করে সাবেক এই গভর্নর বলেন, “ভোগের বৈষম্য তত খারাপ না, খেয়ে পরে মানুষ বেঁচে আছে। মঙ্গা পীড়িতদের কথা এখন শোনা যায় না।”

দরিদ্র ও অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রত্যেকে স্বল্প সুদে ঋণ চায় বলেও জানান আতিউর।

মোট ৪ হাজার ৮০০ খানায় জরিপটি সম্পন্ন করা হয়েছে জানিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আইস্যোশালের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. অনন্য রায়হান জানান, এর মধ্যে ১০ শতাংশ অন্তত একটি সামাজিক সুরক্ষা সেবা গ্রহণ করেছে, সামাজিক সুরক্ষা সেবাগ্রহীতারদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারী।

সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাকের পরিচালক কে এ এম মোরশেদ, বিআইডিএস এর সিনিয়র রিচার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।