রপ্তানি খাতে নতুন সম্ভাবনা ‘স্টিল’ উৎপাদন হবে দেশেই

বিদেশ থেকে আমদানির বদলে এখন দেশের কারখানাতেই উৎপাদন করা হবে স্টিল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2019, 12:27 PM
Updated : 11 June 2019, 12:27 PM

এই কারখানা সচল হলে স্টিলের তৈরি নানা পণ্য রপ্তানি খাতে যোগ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজার কাছ থেকে পাওয়া ৩০ একর জমিতে স্টিলভিত্তিক পণ্য নির্মাণ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে এনার্জিপ্যাক।

মঙ্গলবার বেজা কার্যালয়ে দেশীয় বেসরকারি কোম্পানি এনার্জিপ্যাকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের সঙ্গে ভূমি হস্তান্তর চুক্তি করে বেজা।

চুক্তি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইকনোমিক জোন অথিরিটি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের রপ্তানি খাত আরএমজির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্য দিকে যাচ্ছে। আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর তারই প্রমাণ।

”আগে বাংলাদেশ এলপিজি সিলিন্ডার আমদানি করত। এখন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, এলপিজি সিলিন্ডারসহ অনেক ভারী পণ্য রপ্তানি করে। নতুন করে এর সঙ্গে যুক্ত হবে স্টিলের কনটেইনারসহ অন্যান্য স্টিল পণ্য।”

এনার্জিপ্যাকের এই কারখানায় ২০২২ সালের মধ্যে স্টিলপণ্য উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলোময় বিশ্বাস।

এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান রবিউল আলম বলেন, “প্রায় একশ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে (৯৮ মিলিয়ন ডলার) এই কারখানায় বড় আকারের স্টিল কনটেইনার, স্টিলের রোলসহ অন্যান্য পণ্য তৈরি করা হবে যা এতোদিন বিদেশ থেকে আমদানি করা হত।”

অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে স্টিল পণ্য গুরুত্ব রাখে উল্লেখ করে বেজার পবন চৌধুরী বলেন,  “যেসব পণ্যের ব্যবহার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সূচক নির্ধারণ করে স্টিল তার অন্যতম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্টিলের ব্যবহার হওয়া উচিত মাথাপিছু ২২৪ কেজি। ভারতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাথাপিছু ৭১ কেজি। স্টিলের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় চীনে। সেখানে মাথাপিছু ৫৯০ কেজি স্টিল ব্যবহার হচ্ছে।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশে আগামী কয়েক দশকে স্টিলের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে স্টিলের ব্যবহার ৬০ শতাংশ বাড়বে। এখন স্টিলের ব্যবহার রয়েছে মাথাপিছু ২৫ কেজি। ২০৩০ সালে তা মাথাপিছু ৭৫ কেজি হবে।