যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ 'সিইবিআর' বলছে, অর্থনীতির এই গতি ধরে রাখতে পারলে ২০৩৩ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব বিল্ডিংয়ের অর্থায়নে সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ এবং গ্লোবাল কনস্ট্রাকশন পার্সপেক্টিভস যৌথভাবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল (ডব্লিউইএলটি) প্রকাশ করে।
তাদের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে অর্থনীতির আকার বিবেচনায় বিশ্বের ১৯৩ দেশের এ টেবিলে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ৪১তম অবস্থানে। গত বছর এ তালিকায় বাংলাদেশ ৪৩ নম্বরে ছিল ।
২০০৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর তথ্য বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
পাশাপাশি অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বিচার করে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত একটি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
এই পূর্বাভাস ঠিক হলে বাংলাদেশ ২০২৩ সালে বিশ্বের ৩৬তম, ২০২৮ সালে ২৭তম এবং ২০৩৩ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ বাংলাদেশ গত এক দশকে ৬.৩ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় বাড়ায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের বিবেচনায় নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
ভারত সেলস ট্যাক্স চালু করায় বাংলাদেশের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পাচ্ছে, পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ভোগ ব্যয় বাড়ায় অর্থনীতির গতি বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
অবশ্য বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮ সালে ৭.৩ শতাংশ হতে পারে এবং চলতি হিসাবে গতবছরের ঘাটতি এবার আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে সিইবিআর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতি এং রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় দুটি ঝুঁকির বিষয় হয়ে রয়েছে।
সামাজিক সুরক্ষার কর্মসূচিগুলো ঠিক রেখেই রাজস্ব আদায় কীভাবে আরও বাড়ানো যায়- তা খুঁজে দেখতে বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবারের প্রতিবেদনে।