বৈষম্য কমানোর চেষ্টায় ‘অগ্রগতি নেই’

শক্তিশালী জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অধিকাংশ লক্ষ্য পূরণের আশা করলেও বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতির তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ার চিত্র উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2018, 09:00 AM
Updated : 9 Oct 2018, 09:00 AM

ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনালকে সঙ্গে নিয়ে অক্সফাম মঙ্গলবার তাদের দ্বিতীয় ‘কমিটমেন্ট টু রিডিউসিং ইনইকুয়ালিটি’ বা সিআরআই সূচক প্রকাশ করেছে; সেখানে ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ১৪৮তম অবস্থানে।

গতবছর প্রকাশিত প্রথম সিআরআই সূচকে ১৫২টি দেশের মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান ওই ১৪৮ নম্বরে ছিল। অর্থাৎ এক বছরে এই সূচকে বাংলাদেশের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।

বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়া। আর সূচকে এ অঞ্চলের যে আটটি দেশের তথ্য এসেছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ আছে ৭ নম্বরে।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এডিজি) ১০ নম্বর লক্ষ্য হল দেশের ভেতরে এবং দেশে দেশে আয় ও সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে আনা।

অক্সফাম বলছে, জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশ ২০১৫ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে কাজ করার অঙ্গীকার করে। আর বৈষম্য কমিয়ে আনতে না পারলে এডিজির প্রথম লক্ষ্য অনুযায়ী দারিদ্র্য দূর করা অসম্ভব।  

অক্সফামের এই সূচক তৈরি হয়েছে সামাজিক খাতে সরকারের ব্যয়, করনীতি এবং শ্রমিকদের অধিকার- এই তিন মানদণ্ডে প্রতিটি দেশের অবস্থা বিচার করে।

একটি দেশের সরকার ধনী-গরিব বৈষম্য কমিয়ে আনতে কতটা উদোগী, এই সূচকের মাধ্যমে তা দেখানোর চেষ্টা করেছে অক্সফাম।

এই তিন মানদণ্ডের মধ্যে সামাজিক খাতে ব্যয়ের বিচারে বাংলাদেশ আছে সূচকের ১৪৬তম অবস্থানে। করনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো, ১০৩ নম্বরে। কিন্তু শ্রমিক অধিকারের ক্ষেত্রে ১৪৮তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের কর আইনে নারীদের ক্ষেত্রে আয়করে কিছু ছাড় দেওয়ার প্রশংসা করা হয়েছে অক্সফামের প্রতিবেদনে। কিন্তু শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্যের বিষয়টিও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।  

এবারের সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা পাঁচ দেশ হল- ডেনমার্ক, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও নরওয়ে।

আর সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা পাঁচ দেশ হল- নাইজেরিয়া, উজবেকিস্তান, হাইতি, শাদ ও সিয়েরা লিওন।

দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে এই সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা মালদ্বীপের অবস্থান তালিকায় ৬৮ নম্বরে।

এছাড়া শ্রীলঙ্কা ১০২,পাকিস্তান ১৩৭, মিয়ানমার ১৩৮, নেপাল ১৩৯, ভারত ১৪৭, বাংলাদেশ ১৪৮ এবং ভুটান ১৫২ নম্বরে রয়েছে।