তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে ‘গড়ে তোলার পর্যায়ে’ পৌঁছাবে।
রোববার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,“আমরা অনেক নিচের স্তর থেকে শুরু করেছি, সেজন্য আমাদের উঠতে সময় লেগেছে। একবার যখন উঠেছি তখন আরেকটু মোমেন্টাম যেন বজায় রাখতে পারি, সেই চেষ্টা আপাতত করে যাচ্ছি।”
নিরবচ্ছিন্ন ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নের গতি ধরে রাখা সহজ হয় মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ‘জাতির জন্য সৌভাগ্য’।
“আমি প্রায়ই বলি, আরও পাঁচটি বছর যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকে তাহলে মোটামুটিভাবে বাংলাদেশে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেখান থেকে ১০-১৫ বছরে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে কোনো অসুবিধা হবে না।”
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে বৈষম্য ঘোচাতে জাতিসংঘ যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, তার বেশিরভাগ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সেই সাফল্য পেতে হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগটা বাড়াতে হবে। আর বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গত ৮ বছরে অত্যন্ত দক্ষতার নিদর্শন উপস্থাপন করেছেন এবং সেই দক্ষতাটা আগামী ৫ বছর বজায় থাকবে বলে আশা করি।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি সেটি আমি বলব না, আমি বলব একটি পুঁজিবাজার যাতে গড়ে উঠতে পারে তার ভিত্তি স্থাপন করেছি।”
পুঁজি বাজারে গত এক দশকে দুইবার বড় ধস নামায় যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন গত ৮ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে মুহিত বলেন, “আমি অত্যন্ত খুশি যে এই কমিশন অত্যান্ত পরিশ্রম করে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে গেছের। ২০১৮ সালে একে একটি অবস্থানে নিয়ে এসেছে, যখন মনে হচ্ছে হয়ত আমাদের পুঁজি বাজার অচিরেই গড়ে উঠবে।”
অনেক ক্ষেত্রে সঞ্চয়কেও বিনিয়োগ ধরা হয় মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা মোটামুটিভাবে জানি গত ১০ বছর আমাদের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে এবং উন্নয়ন হচ্ছে। এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি। আমার এখন ৩০ শতাংশের মত বা তার একটু বেশি বিনিয়োগ করছি। তার মধ্যে ব্যক্তি মালিকানা খাতের অংশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তারাই বিনিয়োগটা বাড়াতে পারে।”
বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনসহ কমিশনের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।