স্বাস্থ্য খাতে আরো ১১ কোটি ডলার দেবে এডিবি

বাংলাদেশের নগরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ বাড়াতে আরও ১১ কোটি ডলার বা প্রায় ৯২১ কোটি টাকার (৮৩.৭৫ ডলার হিসেবে) ঋণ সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2018, 06:01 AM
Updated : 19 Sept 2018, 06:01 AM

ম্যানিলাভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় নেওয়া নেওয়া একটি প্রকল্পের জন্য বাড়তি এই ঋণ অনুমোদন করেছে বলে বুধবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এডিবির সামাজিক খাত বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান চিন বলেন, ২০১২ সালে অনুমোদিত সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘আরবান প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি’ নামের এ প্রকল্পে এডিবির সহায়তা বিশেষ করে দরিদ্র খানাগুলোর মধ্যে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যর সুযোগ বাড়ানোর ফলে শূন্যস্থান পূরণ হচ্ছে।

“নতুন এই অর্থায়ন সেবাপ্রদানের ব্যবস্থাকে জোরদার করবে; ২০১২ সালের প্রকল্প ও বাকি দুটি প্রকল্পের ভিত শক্ত করবে। অপূরণীয় চাহিদা পূরণ করে এই ব্যবস্থা পারিচালনায় স্বনির্ভরতা আসবে।”

‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি’ শীর্ষক ২০১২ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় এর মধ্যেই একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।

এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪০ কোটি টাকা এবং এডিবির ঋণ থেকে ৮৯৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সম্ভব হবে। পাশাপাশি মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কিত অপরিহার্য সেবা প্যাকেজের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে।

এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক ও ভৌত অভিগম্যতার উন্নয়ন ঘটবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১১টি সিটি কর্পোরেশন ও ১৪টি পৌরসভার জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র জনেগোষ্ঠী নারী ও শিশু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাবে।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) ২০০৯ আইন অনুসারে নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোর দায়িত্ব।

বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ণের ফলে শহরবাসী মানুষের স্বাস্থ্যসেবার বর্ধিত চাহিদার তুলনায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া কাঠামো দুর্বল ও অপ্রতুল।

গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে।

কিন্তু নগর এলাকায় অনুরূপ স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রমের অপর্যাপ্ততা রয়েছে। এ অপ্রতুলতার নেতিবাচক প্রভাবে শহরবাসী বিশেষত দরিদ্র মানুষ অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়া কাঠামো আরও উন্নত করে নগরবাসী বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।