রোববার বাংলাদেশে সফররত ব্রুনাইয়ের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে গিয়ে এই প্রস্তাব দেন।
দেশটির বৈদেশিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সিতি নোরিসান আব্দুল গাফরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই সফরে রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গানিম ইন্টারন্যাশনালের সিইও নূর রহমান বলেন, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করে ব্রুনাই। বাংলাদেশ চাইলে এসব হালাল ট্রেডমার্কের খাবার আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি ব্রুনাইয়ের খনিজ সম্পদ গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম বাংলাদেশ আমদানি করতে পারে।
ব্রুনাইয়ে মাংস ও চালের চাহিদার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে থেকে তা আমদানির আগ্রহ দেখান তিনি।
বৈঠকে দেশটিতে ওষুধ রপ্তানির সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
আলোচনায় এফবিসিসিআই পরিচালক শারিতা মিল্লাত, প্রীতি চক্রবর্তী, এস এম শফিউজ্জামান, মো. নিজাম উদ্দিন, কোহিনুর ইসলাম, কাজি বেলায়েত হোসেন ও হাফেজ হারুন অর রশিদ অংশ নেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) ব্রুনাই প্রতিনিধি দলের সামনে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ হারে অর্জিত হচ্ছে, যা গত দু’বছরে ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে তিনি ব্রুনাই ব্যবসায়ীদেরকে সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি ওষুধ, হিমায়িত খাদ্য ও স্বাস্থ্যখাতে যৌথ বিনিয়োগের জন্য ব্রুনাই প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানান।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১.১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ব্রুনাইয়ে রপ্তানি করে এবং ব্রুনাই থেকে ০.১১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে।
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে কৃষিজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক সামগ্রি এবং নিটওয়্যার। আর ব্রুনাই থেকে মূলত কেমিকেল পণ্য এবং ইথিলিন পলিমার আমদানি করা হয়।