বৃহস্পতিবার দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে এবিষয়ে সার্কুলার পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
‘ব্যাংকের লেনদেন ব্যবস্থায় সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ সংক্রান্ত সতকর্তা’ শিরোনামে ওই সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং গণমাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরা পেমেন্ট সিস্টেমস হ্যাক করে দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এ ধরনের সাইবার সিকিউরিটি এবং হ্যাকিং সংক্রান্ত নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে।
“এমতাবস্থায়, সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে ২০১৬ সালের ০৩ মার্চ এবং ২০১৭ সালের ২৪ অগাস্ট জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলার দুটি পরিপালনসহ সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে নিবিড় তদারকি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।“
তবে বোংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। মাঝে-মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের সতর্ক করে দেওয়া হয়।”
যেহেতু বিভিন্ন দেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে, সে কারণে আমাদের ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার জন্যই এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে।”
২০১৬ সালের ৩ মার্চ জারি করা ‘আর্থিক খাতে যথাযথ সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ শীর্ষক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে সাইবার গভর্নেন্স ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিপূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতা মূল্যায়ন পরিচালনা এবং আপদকালীন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম প্রণয়ন, এবং যে কোনো সাইবার বা কারিগরি আক্রমণ মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নসহ ব্যাংকগুলোকে ১০টি কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল।
এরপর ২০১৭ সালের ২৪ অগাস্ট জারি করা অপর সার্কুলারে বিভিন্ন পেমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পাদিত কার্ড-ভিত্তিক লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঝুঁকি হ্রাস এবং গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।