খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2018, 04:42 PM
Updated : 7 August 2018, 04:42 PM

জুলাই মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫১ ভাগ। জুন মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৪ ভাগ।

জুলাই মাসে খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৮ ভাগ। জুন মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৯৮ ভাগ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ৮৭ ভাগ থেকে কিছুটা কমে ৪ দশমিক ৪৯ ভাগ হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি করা সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদনে এতথ্য তুলে ধরা হয়, যা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন  পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি বিনিময় হারে ডলারের বিপরীতে টাকা কিছুটা মান হারিয়েছে। তারপরও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম থাকায় তার প্রভাব তেমন একটা পড়েনি।

“তারপরও বিনিময় হারের কারণে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।”

তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিবিএসের একাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “খাদ্য পণ্যের মধ্যে বিশেষ করে ডিম এবং পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খাতের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।”

জুলাইয়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

বিবিএস‘র প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে চাল, মাছ-মাংস, ডিম, মসলা ও ফল জাতীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে।

এদিকে জুলাই মাসে গ্রামাঞ্চলেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ওই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। আগের মাস জুনে এ হার ছিল ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।

জুলাই মাসে জাতীয় পর্য়ায়ের মতো গ্রামেও খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ২৫ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৩৪ ভাগ হয়েছে।  আর গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ৭৬ ভাগ থেকে কিছুটা কমে ৪ দশমিক ৪৯ ভাগ হয়েছে।

একইভাবে শহরাঞ্চলেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৩৯ ভাগ থেকে সামান্য কমে ৬ দশমিক ৩৭ ভাগ হয়েছে। শহরে খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফিীতি ৫ দশমিক ০৩ ভাগ থেকে কমে ৪ দশমিক ৫০ ভাগ হয়েছে।