বৃহস্পতিবার ব্যাংকারদের সংগঠন এবিবি, ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি ও অর্থ সচিবকে নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদের হার নিয়ে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সুদের হার নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছিল না।
এই অবস্থায় শেরে বাংলা নগরের ইআরডি সম্মেলন কক্ষে সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এরই মধ্যেই প্রায় অর্ধেক ব্যাংক ছয় আর নয় শতাংশ সুদ হার নির্ধারণ করেছে, আর নয় তারিখ থেকে সবাই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে।”
“তবে কনজিউমার লোন আর ক্রেডিট কার্ড এর বাইরে থাকবে”, বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে এবিবি সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা ৬ ও ৯ শতাংশের এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছি।”
এই ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে ব্যাংকগুলোকেও কিছু দেওয়ার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিলের ৫০ শতাংশ ডিপোজিট পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এদেশে কোনো লিকুইডিটি ক্রাইসিস নাই। এখন থেকে সরকারি তহবিলের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকগুলো হ্যান্ডল করতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে এটা অনেক সুবিধা হয়েছে।”
এবিবি সভাপতি বলেন, “ডিপোজিট রেটটা আমাদের ইম্পর্ট্যান্ট। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিটটা যেটা আড়াই লক্ষ্য কোটি টাকা হতে পারে।”
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার পুনর্বিবেচনার বিষয়ে ৮ অগাস্ট সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।