১৮৮টি উপজেলার অবকাঠামো উন্নয়নে হচ্ছে ‘মাস্টারপ্লান’

পৌরসভা নয় দেশের এমন ১৮৮টি উপজেলা শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নাগরিকদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2018, 03:32 PM
Updated : 28 July 2018, 03:32 PM

এজন্য ‘উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্লান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার।

চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে একহাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেই যোগান দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য তৈরি প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়, পৌরসভার মর্যাদা পায়নি এমন ১৮৮টি শহরের উন্নয়নের জন্য এখনও বড় ধরণের কোনো একক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। এসব শহরের মৌলিক নাগরিক সুবিধা অর্থাৎ সড়ক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ আরও অনেক সুবিধার ঘাটতি রয়েছে।

এসব সুবিধাহীন শহরবাসীর জীবনযাত্রার মান ‍বৃদ্ধি ও পরিবেশের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। ওই সভায় নন মিউনিসিপ্যাল আরও ৫টি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নতুনভাবে যুক্ত হওয়া পাঁচ উপজেলা হচ্ছে- সিলেটের ওসমানী নগর, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, খাগড়াছড়ির গুইমারা, কুমিল্লার লালমাই এবং ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা।

প্রকল্পটির মাধ্যমে ১৮৮টি উপজেলা শহরের জন্য মাস্টার প্লান তৈরি করা হবে। এর মধ্যে থাকবে ৫৬০ কিলোমিটার সড়ক, ৯৬০ মিটার ব্রিজ/কালভার্ট ও ২৭৪ কিলোমিটার ড্রেন পুনঃনির্মাণ এবং ১৮৩টি কসাইখানা এবং ৫৪৯টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ।

এর আগে দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ৩০৪টি উপজেলাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছে। এসব পৌরসভাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে প্রথম পর্যায়ে ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্য়ন্ত মেয়াদে ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যয়)’ নামে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এরপর প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ওই প্রকল্পের ২য় পর্যায় স্থানীয় সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।