এসডিজি অর্জনে বাজেট ভূমিকা রাখবে: বিসিআই

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা, জ্বালানি, অবকাঠামো, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী উদ্যোগ ও গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়ন অবকাঠামোসহ জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2018, 02:04 PM
Updated : 9 June 2018, 02:04 PM

নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে শনিবার বিসিআইর এক সভায় এই মত প্রকাশ করা হয় বলে সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিসিআই সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু সভায় সভাপতিত্ব করেন ।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।

মোট ১২টি বাজেট উত্থাপন করায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায় বিসিআই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতা ও ভাতা বৃদ্ধি, পরিবহন ও যোগাযোগ, জ্বালানি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যা আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি অবকাঠামো খাতে ২৪ হাজার ১৭৩ কোটি ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৪৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখন অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজের গুণগত মান যাতে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ১৪%-১৭% হারের বেশি না হওয়া সত্যেও প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ৩৩% বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বাস্তব সম্মত নয়। এর ফলে উৎপাদনশীল খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৫% এর মধ্যে রাখা করে সংগঠনটি।

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা এবং আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম মূল্য সংযোজন কর বৃদ্ধি করায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে তারা।

প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকপণ্য শুল্ক-কর বৃদ্ধি করা হলেও রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করার প্রস্তাবকে জনবিরোধী উল্লেখ বিসিআই বলেছে, এর ফলে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাবে, জমির উর্বরতা আশংকাজনক হারে হ্রাস পাবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দেশনা উপেক্ষিত হবে।

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা সাতে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়।

বিসিআই আরও বলেছে, রপ্তানি আয় ক্রমবর্ধিত হারে উন্নিত করার লক্ষ্যে রপ্তানি খাতের জন্য শুল্ক ও কর সুবিধা, আর্থিক সহায়তা ও বিভিন্ন রেয়াতি ব্যবস্থা প্রদানসহ সুনির্দিষ্ট রপ্তানি বাজেট প্রদানের জন্য বেসরকারি খাতের প্রস্তাব বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।