পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘সাফল্যের দৃষ্টান্ত তৈরির’ আশা

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সাফল্যের উদাহারণ সৃষ্টি করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2018, 08:53 PM
Updated : 30 May 2018, 08:53 PM

বুধবার পিপিপি কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরসের দ্বিতীয় সভায় তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের ফেইসবুক পেইজের এক স্ট্যাটাসে জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে এতে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, পিপিপির মাধ্যমে গৃহীত প্রকল্পসমূহ যদি জনগণ, বেসরকারি বিনিয়োগকারী এবং সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের নিকট রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয় তবেই পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের অন্তরে বিশ্বাস ও আস্থার সৃষ্টি হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভায় বিভিন্ন পিপিপি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব, মুখ্যসচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এতে মন্ত্রীদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় পিপিপি কর্তৃপক্ষের ৪৮টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে প্রায় ১২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য ৪৮টি প্রকল্পের মধ্যে মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি অংশীদারদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আরও দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য শীঘ্রই বেসরকারি অংশিদারদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

সভায় জিটুজি পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা হয় জানিয়ে বলা হয়, দ্বি-পাক্ষিক অংশিদারিত্বের উন্নয়ন এবং এ সব দেশের সাথে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ২০১৭ সালের জুন মাসে জিটুজি পলিসি গেজেটে প্রকাশিত হয়।

“জিটুজি পদ্ধতিতে পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এ পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নে উন্নত কারিগরি জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো এবং সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন ধারার সন্নিবেশ ঘটবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের জুন মাসে জাপানের সাথে এবং গত মার্চ সিংগাপুরের সাথে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।”

জিটুজি পদ্ধতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আটি প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের আগ্রহের বিষয়টি সভায় আলোচনা হয়। এছাড়া সিঙ্গাপুর আবাসন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন, নৌ-বন্দর উন্নয়ন খাতে আগ্রহের বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়।