উন্নয়নশীল দেশ হলেও আরও বেশি ঋণ পাব: পরিকল্পনামন্ত্রী

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে দাতাদের সহায়তা কমবে বলে যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2018, 06:16 PM
Updated : 21 March 2018, 06:16 PM

তিনি বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি না আমরা উন্নয়নশীল দেশ হলে আমাদের রপ্তানি ও ঋণ কমবে। বরং দাতাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি ঋণ নিতে পারব।”

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন উপলক্ষে বুধবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হলে বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেড়ে যায়। আমরা আশা করছি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই হবে। বিনিয়োগ যত বাড়বে, রপ্তানি ততই বাড়বে।

“পোশাক খাতের পাশাপাশি নতুন করে আমাদের আইটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), পাদুকা এবং ওষুধ শিল্প রপ্তানির অনেক সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এসব নতুন পণ্য দিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আরও বাড়িয়ে নিতে পারবে বলে আমি মনে করি।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “এখন আমাদের স্বপ্ন ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশের কাতারে চলে যাব। এটা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব।”

নিকট অর্জনগুলো এই আশা দেখাচ্ছে মুস্তফা কামালকে।

“আমরা মাত্র নয় বছর আগে ৫৮তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ছিলাম। এখন আমরা ৪৩তম অর্থনীতির দেশ হয়েছি। এবছরের মধ্যে আরও কয়েকটা দেশকে টপকে যেতে পারবো বলে আশা করছি।

“আমরা যদি নয় বছরে ১৫টি দেশকে পেছনে ফেলতে পারি। আগামী ২৩ বছরে আরও ২৩টি দেশকে টপকে ২০৪১ সালে আমরা পৃথিবীর সেরা ২০ এ প্রবেশ করতে পারব।”

উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মক্ষম জনশক্তিকে থেকে সুবিধা আদায়ের কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

“ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের ক্ষেত্রে পৃথিবীতে আমাদের মতো সুবিধায় আর কেউ নেই। জনগণের তুলনায় এত বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী আর কারও নেই।”

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে মনে করেন মুস্তফা কামাল; তা মোকাবেলায় সরকারের তৎপরতার কথাও বলেন তিনি।

মুস্তফা কামাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদেরকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে, লিফটে নয়্।”

তিনি বলেন, “আমাদের এখন যে পরিমাণ মানুষ চাকরির বাজারে আসছে, তাদেরকে চাকরি দিতে পারছি।

“এবছর আমরা অনেক ভালো করবো। এখন বিশ্বের কোথাও খারাপ অবস্থা নেই। আমরা পিছিয়ে পড়ার মতো কোনও কম্পোন্যান্ট দেখি না।”