‘এইও’ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দিনব্যাপী ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, আমদানি-রপ্তানিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অতীত রেকর্ড ভালো, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা ও শুল্ক ফাঁকিসহ অন্য কোনো অভিযোগ নেই এবং আর্থিক ও কারিগরিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবসায়ীদের অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর-এইও হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
এইও ঘোষিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বন্দর থেকে দ্রুত ও অপেক্ষাকৃত কম পরীক্ষায় পণ্য খালাসের সুবিধা পাবে। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টির বাধ্যবাধকতায় নমনীয়তা ও বাকিতে কার্যক্রম সম্পন্ন করার মতো সুবিধাও পাবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার লক্ষেই এই বিশেষ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। দেশের ব্যবসাখাতের ব্যাপ্তি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের কাস্টমকেও এই ক্রমবর্ধমান খাতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। কাস্টমের আধুনিকায়নে আমাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া।”
আসছে জানুয়ারি থেকে প্রাথমিকভাবে দুটি ওষুধ কোম্পানির জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এইও সুবিধা শুরু হতে যাচ্ছে জানিয়ে ২০১৯ নাগাদ তা পুরোদমে চালু হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন কাস্টম বিশেষজ্ঞ আবু হেনা ইউসুফ।
এইও তালিকায় নাম তুলতে ব্যবসায়ীদের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না জানিয়ে ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার ও এনবিআরের এইও কমিটির প্রধান প্রকাশ দেওয়ান বলেন, “যারা এইও তালিকায় থাকবেন, এই সুবিধা তাদের ব্র্যান্ডিং করে দেবে। এটা প্রমাণ করবে যে তারা নীতিমালা মেনে ব্যবসা করছেন, কর ফাঁকি দিচ্ছেন না, যা দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীমহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।”