চার বন্দর আধুনিকায়নে ১২১৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক

দেশের চারটি স্থলবন্দরের অবকাঠামো আধুনিকায়নে এক হাজার ২১৫ কোটি টাকা (১৫ কোটি ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2017, 01:44 PM
Updated : 7 Dec 2017, 01:44 PM

বিশ্ব ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১’ এর আওতায় এ অর্থে ভোমরা, শেওলা, বেনাপোল ও খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের অবকাঠামো আধুনিকায়ন করা হবে।

ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ৩৮ বছরে দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে।

চুক্তিতে ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্ব ব্যাংকের আবসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির তিনটি অংশ রয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগ পৃথকভাবে এগুলো বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহন সময় কমে আসবে। ভোমরা স্থল বন্দরে ট্রাক ক্লিয়ারেন্স ৭২ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টায় নেমে আসবে।

প্রকল্পটির মোট ব্যয়  ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে এক কোটি ৫২ লাখ ডলার। ২০২১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থলবন্দরগুলোর বাণিজ্যিক অবকাঠামোর আধুনিকায়ন করা হবে। এর ফলে প্রতিবেশী ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে।

বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ তার অর্ধেক বাণিজ্যও ভারতের সাথে করতে পারছে না।”

এ ধরনের উদ্যোগ সফল হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য তথা বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে কাজী শফিকুল আযম বলেন, “গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু আমাদের সম্ভাবনা তার চেয়ে বেশি। স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নত হলে ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে। পাশাপাশি নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাড়বে।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে শুল্ক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য প্রয়োজনীয় আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় তথ্য এক স্থানে জমা দেওয়া যাবে। ফলে সময় ও খরচ কমে আসবে।