চালের বাজার এখন স্বাভাবিক: বাণিজ্যমন্ত্রী

মাঝে দর চড়লেও তা কমে চালের বাজার এখন ‘স্বাভাবিক’ বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2017, 02:26 PM
Updated : 19 Nov 2017, 02:26 PM

মোটা চাল ৪০ টাকার বেশি এবং সরু চাল ৫৬ টাকার বেশি থাকার মধ্যে রোববার সংসদে বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবির বাজার দরের তথ্যে দেখা যায়, রোববার ঢাকার বাজারে মোটা চালের সর্বনিম্ন দর ছিল ৪২ টাকা, সরু চালের সর্বনিম্ন দর ছিল ৫৬ টাকা। উন্নত মানের সরু চালের সর্বোচ্চ দর ছিল ৬৫ টাকা।

এই বছরের মাঝামাঝিতে চালের দরের ঊর্ধ্বগতি সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তখন চাল আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পর দাম কিছুটা কমে।

সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল চালের দাম বাড়ার কারণ ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, “চালের বাজার এখন স্বাভাবিক রয়েছে।”

বাজার সহনীয় করতে আমদানি শুল্ক ২ শতাংশে নামিয়ে আনলেও দেশের কৃষকদের স্বার্থে তা আবার বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী।   

“আবার ধানের ফসল ওঠলে চালের আমদানি শুল্ক বসাতে হবে। নাহলে চাল আমদানি হতেই থাকবে, কৃষকেরা ধানের মূল্য পাবেন না।”

চালের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাজারও এখন স্থিতিশীল বলে দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য অসাধু আড়ৎদার ও ফড়িয়াদের দায়ী করেন তিনি বলেন, “জনজীবনে হয়রানি সৃষ্টিকারী অসাধু আড়ৎদার ও ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট দমন করতে সরকার সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে ওঠতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করার জন্য সরকার প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছে।”

খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম সংসদে জানান, দেশে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুদামজাত মজুদের পরিমাণ ৫ দশমিক ৭৭ লাখ টন।

সরকারি পর্যায়ে গুদামে খাদ্যশস্যের ধারণক্ষমতা ২০ দশমিক ২৩ লাখ টন। ধারণ ক্ষমতা ৩০ লাখ টনে উন্নীত করার কাজ চলছে বলে মন্ত্রী জানান।

বিদেশে বন্দি ১৫১৪৯

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সংসদে জানান, ১৫ হাজার ১৪৯ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশের কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক ১০ হাজার ৮৮৫ জন সৌদি আরবে বন্দি। মালয়েশিয়ায় বন্দি আছেন ৮১০ জন বাংলাদেশি।

এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯৭৭ জন, কুয়েতে ৩৮৪ জন, কাতারে ৩০৯ জন, লিবিয়ায় ২৩৯ জন, ওমানে ৬৬১ জন, সিঙ্গাপুরে ৮৪ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৭ জন, ইরাকে ১১৫ জন, ইতালিতে ১৩৪ জন, জাপানে ২৩ জন, জর্ডানে ৫৯ জন, গ্রিসে ২৫৭ জন, মিশরে ৪ জন, মালদ্বীপে ১২৪ জন, হংকংয়ে ৭৯ জন, থাইল্যান্ডে ১ জন, মরিশাসে ৭ জন বন্দি রয়েছেন।

নুরুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।

বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে কর্মী নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কোনো কোনো রাষ্ট্রে চাহিদার চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী যাওয়ায় সেসব দেশে কর্মী গমন তুলনামূলক কম।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সৌদি আরবে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৭১৩ জন, কাতারে ৭০ হাজার ৪৪০ জন, ওমানে ৭৪ হাজার ৯৪৩ জন, কুয়েতে ৪২ হাজার ৩১ জন, বাহরাইনে ১৮ হাজার ৪১০ জন, জর্ডানে ১৭ হাজার ৮১৯ জন, লেবাননে ৭ হাজার ১১৪ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ হাজার ৪৮২ জন, ইরাকে ৩ হাজার ৪৮২ জন কর্মী গেছেন।