রোহিঙ্গাদের কারণে বাজেটে চাপ খুব বেশি হবে না: মুহিত

রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করলেও এই কারণে আগামী বাজেটে চাপ ‘খুব বেশি’ হবে না বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2017, 02:11 PM
Updated : 6 Nov 2017, 05:31 PM

৪ লাখের সঙ্গে আরও ৬ লাখ রোহিঙ্গার ভার যোগ হওয়ার মধ্যে সোমবার সচিবালয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন তিনি।

আগামী বাজেটে রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রভাব ফেলবে কি না- এই প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন,“রোহিঙ্গা ডিপার্টমেন্টস যা চাচ্ছে, আমরা তাই দিচ্ছি, তবে প্রেসার খুব বেশি হবে না।”

তবে বাজেটের উপর চাপ না পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য যে খরচাপাতি হচ্ছে, তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে হচ্ছে।

“আমার বাজেট হেস্তনেস্ত হয়ে যাবে, সে রকম হয়ত হবে না।”

মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে গত আড়াই মাসে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে; আগে বিভিন্ন সময় আসা আরও ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে।

মানবিক কারণে এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও বিশাল এই শরণার্থীর ভার সামলানো বাংলাদেশের পক্ষে কষ্টকর বলে আন্তর্জাতিক মহলও স্বীকার করছে।

মিয়ানমারের তীব্র সমালোচনা করে সম্প্রতি মুহিত বলেছিলেন, “মিয়ানমার একটা ব্লাডি কান্ট্রি, মিয়ানমার একটা বদমায়েশ দেশ। এই মিয়ানমার দেশটি এ বছর বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে।”

ত্রাণপ্রার্থী রোহিঙ্গারা (ফাইল ছবি)

রোহিঙ্গাদের জন্য এডিবির কাছে সহায়তা চাওয়া হবে বলে জানান মুহিত।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “হ্যাঁ, আমরা অফকোর্স চাইব। আমরা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে চেয়েছি। এডিবির যেটা হল, আমাদের যে নরমাল কোটা তার থেকে বের হয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের প্রজেক্ট বানাতে হবে।”

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালক হুন কিম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকার চাইলে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত তারা। তবে এডিবি যেহেতু ব্যাংক, সে ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের অর্থ সহায়তা দেওয়ার আগে একটা পন্থা বের করতে হবে।

আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশে ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন হুন কিম।

রোহিঙ্গা সঙ্কট দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন মুহিত।

আগামী বাজেটের একটা সম্ভাব্য অঙ্ক নিয়ে পরিকল্পনা করতে সচিবকে বলা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

বর্তমান অর্থবছরের বাজেটের আকার ৪ লাখ কোটি টাকা। বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট হবে আগামী বছর। মুহিত ওই বাজেটের আকার ৫ লাখ কোটি টাকায় নেওয়ার স্বপ্ন আগে থেকেই দেখছেন।

মন্ত্রণালয়গুলোর কী পরিমাণ চাহিদা থাকতে পারে, তা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন মুহিত।