রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সোমবার এই পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি বলছে, অধ্যাপক থেলারের কাজ অর্থনীতির মনস্তত্ব বুঝতে অবদান রেখেছে।
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের অন্যতম বিচারক পার স্ট্রয়েমবার্গ বলেন, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তকে মানব মনস্তত্বের সুনির্দিষ্ট কোন দিক রূপ দেয় সেটি উন্মোচিত করেছে তার কাজ।
“গবেষকরায় রিচার্ড থেলার যা পেয়েছেন তা অন্য অনেক গবেষককে তার পদাঙ্ক অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করেছে। এটা অর্থনীতির একটি নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি দিয়েছে, যাকে আমরা বিহেইভিওয়ারাল ইকোনোমিক্স বলি।“
নোবেল কমিটি বলছে, সীমিত মিতব্যয়িতা, সামাজিক অগ্রাধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের মতো বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ করে এগুলো কিভাবে বাজারের ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে মানুষের বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে তা অধ্যাপক থেলার দেখিয়েছেন।
অধ্যাপক থেলারের অন্তর্দৃষ্টি মানুষকে কেনাকাটার কৌশল চিহ্নিত ও বাজে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো এড়াতে সাহায্য করবে বলছে বিচারকদের প্যানেল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষ কিভাবে বাজে পছন্দটাই বেছে নেয় আমেরিকান আ্ইন বিশেষজ্ঞ কাস সানস্টেইনের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা বেস্ট সেলার বই ‘ন্যুজ’ এ তা দেখিয়েছেন থেলার।
এই গবেষণায় নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবেন যুক্তরাষ্ট্রের এই অধ্যাপক।
নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পর পুরস্কারের অর্থ নিয়ে রসিকতায় করে অর্থনীতিবিদ থেলার বলেন, “আমি এই অর্থ যতদূর যথেচ্ছভাবে সম্ভব, সেইভাবেই খরচের চেষ্টা করব।”
রীতি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর এবারের নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।