বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বক্তৃতায় মুহিত বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিদ্যমান মাথাপিছু সম্মানী ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে বছরে দু’টি উৎসব ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করছি।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণ, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া এবং মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরবর্তী প্রজন্মের কল্যাণে আমাদের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।
“পাশাপাশি, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নত আবাসন সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনাও আমরা গ্রহণ করেছি।”
মুহিত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে গণহত্যা-নির্যাতন, বধ্যভূমি, গণকবর চিহ্নিতকরণ, এ সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার তৈরি, প্রদর্শনী এবং প্রকাশনার লক্ষ্যে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও আমরা গ্রহণ করেছি।
উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন সামনে রেখে জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।