মঙ্গলবার টিআইবির এক বিবৃতিতে এড-হক সিদ্ধান্তের প্রবণতা পরিহার করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ‘অভিজ্ঞ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে’ একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ঝুঁকি নিরসন নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে অগ্রসর হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
পাশাপাশি ক্রমবিকাশমান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অপব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির কারণে প্রবাসী আয় বাবদ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়া রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং কোম্পানি আইন সংশোধন করে বেসরকারি ব্যাংকিং খাতে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের পটভূমিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সম্পূর্ণভাবে অনিয়ন্ত্রিত, জবাবদিহিহীন ও অভিভাবকশূন্য হবার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন “ব্যাংকিং খাতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও যোগসাজশের মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত ঋণ খেলাপ, জালিয়াতি ও দুর্নীতির কারণে জনগণের আমানতের অর্থ ব্যাপক ঝুঁকির সম্মুখীন। অন্যদিকে এ খাতের সুশাসনের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী বিশেষ মহলের নিকট সরকারের দৃশ্যমান জিম্মি অবস্থা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত।”
বিবৃবিতে বলা হয়, “টিআইবি মনে করে, বাংলাদেশি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব স্বল্পমেয়াদে যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন, প্রয়োজনীয় আইনি ও নীতিকাঠামো এবং পরিবীক্ষণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে এড-হক ভিত্তিতে এরূপ সুযোগ সৃষ্টি করার ফলে বিদেশে অবৈধ অর্থ পাচার আরো বিকশিত হবার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।”
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাবিত সংস্কারের মাধ্যমে এ খাতে পরিবারতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকরণের সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ না করে এরূপ আইনি সংশোধন ‘অদূরদর্শিতার নামান্তর’ বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
একইসঙ্গে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের, বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সমন্বিত প্রয়াস এবং অর্থ পাচারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিতেরও দাবি জানায় টিআইবি।